প্রতিবেদন : বিজেপির অপশাসনে নারী-নিরাপত্তা তলানিতে এসে ঠেকেছে। শুধু মুখেই বড়-বড় বুলি। আদতে বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ ডবল ইঞ্জিন সরকার। ওড়িশার (Odisha) বালাসোরের কলেজে যেমন বিভাগীয় প্রধানের হাতে যৌন হেনস্থার শিকার হয়ে ন্যায়বিচার চাইতে গিয়ে জীবনটাই শেষ হয়ে গেল নির্যাতিতা কলেজ-ছাত্রীর। ডবল ইঞ্জিন ওড়িশায় কলেজ ক্যাম্পাসে যৌন হেনস্থার বিচার চেয়ে ক্যাম্পাসেই গায়ে আগুন দিয়েছিলেন বছর ২০-র দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। ভুবনেশ্বরের এইমসে তিনদিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েও শেষরক্ষা হল না। আর নির্যাতিতা ছাত্রীর মৃত্যুর পর থেকেই অগ্নিগর্ভ ওড়িশা (Odisha)। বিজেপি-শাসিত রাজ্যের দিকে দিকে জ্বলছে প্রতিবাদের আগুন। বুধবার সকালে বিধানসভার সামনে জড়ো হয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান প্রতিবাদীরা। বিক্ষুব্ধ জনতার সেই প্রবল পরাক্রমী প্রতিবাদের ঢেউ রুখতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। বিক্ষোভে বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে জড়ায় প্রতিবাদীরা। জলকামান-কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুঁড়ে পরিস্থিতি হাতের মুঠোয় আনার চেষ্টা চালায় বিজেপির অমানবিক পুলিশ। বৃহস্পতিবার ১২ ঘণ্টার জন্য ওড়িশা বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, বুধবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত ৮ ঘণ্টার বনধ ডেকেছিল ওড়িশার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের বিজু জনতা দল (বিজেডি)। সেইমতো এদিন সকাল থেকেই রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদের আগুন জ্বলে উঠেছে। জেলার রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। কোথাও টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন বিজেডির কর্মীরা। বন্ধ দোকানপাট, বাজারহাট, অফিস-কাছারি।
আরও পড়ুন- খাদ্যাভ্যাসে হস্তক্ষেপ করা ঠিক নয় : নেত্রী
থমকে যান-চলাচলও। গত ১২ জুলাই নির্যাতিতা ছাত্রী নিজের গায়ে আগুন দেওয়ার পর গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত অধ্যাপককে। সাসপেন্ড করা হয়েছে কলেজের প্রিন্সিপালকেও। কিন্তু ৩০ জুন কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানানোর এত পরে কেন পদক্ষেপ? প্রশ্ন তুলছেন প্রতিবাদীরা। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে শেষপর্যন্ত মেয়েটিকে মৃত্যুকে বেছে নিতে হয়েছে। এর বেলা কেন জাতীয় মহিলা কমিশন নীরব? গদি মিডিয়া কেন এটিকে প্রাইম-টাইম বিতর্কে পরিণত করছে না? এটি কি বিজেপি-শাসিত রাজ্যে ঘটেছে বলে?