প্রতিবেদন : সূর্যকান্ত প্রধান (২২) যখন প্রীতমের বলে অভিমন্যু ঈশ্বরণের হাতে ক্যাচ তুলে ফিরে গেলেন, ওড়িশার রান ২২৭-৯। তখন ৮৪.৩ ওভার। ওড়িশার শেষ উইকেট জুটি আরও ১২.৩ ওভার কাটিয়ে দিল এরপর। তাদের ইনিংস শেষ হয়েছে ২৬৫ রানে। শেষ দুই ব্যাটসম্যান সুনীল কুমার রাউল ও বসন্ত কুমার মোহান্তির অবদান যথাক্রমে ২৪ ও ১৫। বসন্ত নিজের শেষ রঞ্জি ম্যাচে নট আউট থেকে গেলেন।
ওড়িশার (Odisha- Bengal) হয়ে এদিনই শেষ ম্যাচ খেললেন ৩৬ বছরের এই মিডিয়াম পেসার। লক্ষ্ণীরতন শুক্লা, মনোজ তিওয়ারি, সৌরাশিস লাহিড়ীদের সঙ্গে বহু ম্যাচ খেলেছেন পূর্বাঞ্চলের হয়ে। এদিন চায়ের পর ওড়িশা যখন ফিল্ডিংয়ে নামছে, তখন দু’দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে বসন্তকে গার্ড অফ অনার দিলেন লক্ষ্মী-মনোজরাও।
বাংলার ইনিংসে প্রথম ধাক্কাও দিলেন বসন্তই। করণ লালকে (৮) তুলে নেন তিনি। বাংলার রান তখন ১২। এরপর আউট হয়ে গেলেন সুদীপ ঘরামি (৯)। তিনি ফিরে যান সুনীলের বলে। ফর্মে থাকা সুদীপকে ৩০ রানে হারানো একটা বড় ধাক্কা হলেও এরপর বাংলা অবশ্য আর কোনও উইকেট হারায়নি। দ্বিতীয় দিনের শেষে মনোজদের রান ৩৯-২। এখনও ২২৬ রানে পিছিয়ে রয়েছে বাংলা।
রঞ্জি কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেলেও এই ম্যাচে বাংলার বোলিং কিন্তু চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াল। প্রথম দিন সকালের চার ঘণ্টা নষ্ট হওয়া অবশ্যই একটা ফ্যাক্টর। কিন্তু তারপরও ওড়িশার ইনিংস শেষ করতে সাতজন বোলারকে ব্যাবহার করতে হল মনোজকে। ঈশান ও প্রীতম তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। দুটি উইকেট আকাশ ঘটকের। এছাড়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন আকাশদীপ ও গীত পুরি। আকাশ অবশ্য ৬ ওভারের বেশি বল করতে পারেননি। পয়েন্টে ফিল্ডিং করতে গিয়ে এদিন তিনি মাথায় চোট পান। তবে সব মেডিক্যাল রিপোর্টই ভাল এসেছে। কিন্তু এই ম্যাচে তিনি আর খেলতে পারবেন না। আকাশের জায়গায় কনকাশন সাব হয়েছেন গীত পুরি।
অভিমন্যু ১৪ ও প্রীতম ৭ রানে নট আউট রয়েছেন। এরপর আসবেন মনোজ, অনুষ্টুপ, অভিষেকরা। তৃতীয় দিন ওড়িশাকে পিছনে ফেলে কত রানের লিড নিতে পারে বাংলা, সেটাই এখন দেখার। তবে এই ম্যাচের সরাসরি নিষ্পত্তির সম্ভবনা কম। তাতে অবশ্য বাংলার (Odisha- Bengal) কোনও ক্ষতি হওয়ার কথা নয়।
আরও পড়ুন: রাজ্যে পালিত জাতীয় ভোটার দিবস, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের অঙ্গীকার