কসবার (Kasba) ফ্ল্যাটে একই পরিবারের তিন জনের দেহ উদ্ধার। জানা গিয়েছে মৃত ব্যক্তির নাম সরজিৎ ভট্টাচার্য। ফ্ল্যাট থেকে একটি সুইসাইড নোট পুলিশ উদ্ধার করেছে। চিঠিতে লেখা রয়েছে, তাঁরা ‘স্বেচ্ছায়’ পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কসবার রাজডাঙা গোল্ড পার্কের ফ্ল্যাট থেকে সরজিৎ, তাঁর স্ত্রী গার্গী এবং পুত্র আয়ুষ্মানের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গার্গী এবং আয়ুষ্মানের শরীরে ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন-ওড়িশা জুড়ে ভয়াবহ কলেরার দাপট, মৃত্যুমিছিল অব্যাহত
পেশাগত ভাবে সরজিৎ জমি বাড়ির দালাল। কিন্তু বাড়ির বাইরে খুব বেশি যেতেন না। তিনি এবং তাঁর পুত্র সকালে জল আনতে যেতেন। তাঁদের পরিবারের কাউকে খুব একটা বাইরে দেখা যেত না। ৩৮ বছরের আয়ুষ্মানের পায়ে সমস্যা ছিল। তিনি পা টেনে টেনে হাঁটতেন। গার্গীর বয়স ৬৮ বছর।
আরও পড়ুন-আজ রিভিউ-স্ক্রুটিনির ফল
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কসবা থানায় ফোন করে স্থানীয়রা জানান ৫০ নম্বর রাজডাঙা গোল্ড পার্কের ওই ফ্ল্যাটবাড়ির তৃতীয় তলার বাসিন্দারা মঙ্গলবার সকাল থেকে দরজা খোলেননি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। দেখা যায় ফ্ল্যাটের কোলাপসিবল গেট ভিতর থেকে তালা দেওয়া রয়েছে। গেটের পিছনে কাঠের দরজাও বন্ধ। পুলিশ দরজা ভেঙে ফ্ল্যাটের ভিতরে ঢুকে দেখে, হলে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে সরজিতের দেহ। এরপরেই ভিতরের ঘরে তাঁর স্ত্রী গার্গী এবং পুত্র আয়ুষ্মানের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। আশ্চর্যজনকভাবে গার্গী এবং আয়ুষ্মানের শরীরে কাটা দাগ রয়েছে। তাঁদের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। ফ্ল্যাটের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ থাকায় ও সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে বলে আপাতত মনে করা হচ্ছে পরিবারের সদস্যেরা আত্মহত্যা করেছেন। তবে দুজনের শরীরে ক্ষতচিহ্ন তদন্তকারীদের চিন্তার কারণ হয়ে যাচ্ছে। তিনজনে একই সঙ্গে আত্মঘাতী হয়েছেন, নাকি দু’জনকে খুন করে কোনও একজন আত্মঘাতী হয়েছেন, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।