বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, আলিপুরদুয়ার: শাহের সভায় লোক টানতে ট্রেন ভাড়া করেছিল বিজেপি। সময়মতো কামাখ্যাগুড়ি স্টেশনে এসে থামল ট্রেন। কিন্তু ট্রেন ভর্তি না হওয়ায় তা ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকল স্টেশনে। আর তার জেরে ভোগান্তি হল সাধারণ যাত্রীদের। আটকে থাকল অন্যান্য ট্রেন। বাবাকে ডাক্তার দেখাতে এসে চরম সংকটে পড়েন নারার্থলির বাসিন্দা সুমিত দাস। দীর্ঘক্ষণ অসুস্থ বাবাকে নিয়ে ট্রেনে আটকে থাকার পর হতাশ হয়ে পড়েন তিনি। বলেন, ‘‘আজ আর ডাক্তার দেখাতে পারব কি না জানি না।’’
আরও পড়ুন-সভায় নেই আদি বিজেপিরা, মানবিক তৃণমূল শাহকে বয়কট
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে রেলের বিরুদ্ধে। কেন রেলের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? এর উত্তর যদিও দেয়নি রেল। বরং কামাখ্যাগুড়ির স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট স্বপনকুমার বিশ্বাস জানান, বিজেপির লোকরা এসে না পৌঁছানোর জন্য রিজার্ভ ট্রেনটি দেরি করে ছাড়তে হয়েছে। যার ফলে আসাম থেকে এনজেপিগামী প্যাসেঞ্জার ট্রেনটিকে দীর্ঘক্ষণ জোড়াই স্টেশনে বসিয়ে রাখা হয়। পরে বিজেপির রিজার্ভ ট্রেন যাবার পর ওই প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি কামাখ্যাগুড়িতে আসে।