সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি : নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা। উজ্জ্বল সকালে ঢাকের বোল। আগমনির সুর। রাজপথে লালপেড়ে সাদাশাড়ি পরে মহিলারা আর পুরুষদের পরনে পাঞ্জামি-পাজামা, যেন অষ্টমীর সকালে অঞ্জলির আয়োজন। রাস্তার দু-ধারে ৫০ ঢাকের বোলে শিলিগুড়ির ঘরে ঘরে পুজোর আমেজ। ইউনেস্কোর স্বীকৃতি উদযাপনে আশ্বিনের আগেই পড়ল ঢাকে কাঠি। সোমবার সুসজ্জিত পাঁচটি ট্যাবলো পরিক্রমা করল শিলিগুড়ি শহর। সপ্তমী থেকে দশমীর সমস্ত আচার নিয়ম-রীতি তুলে ধরা হয় ট্যাবলোগুলিতে।
শোভাযাত্রায় পা মেলালেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেব, দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ, জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অলক চক্রবর্তী-সহ শিলিগুড়িবাসীরা। দলবর্ণ নির্বিশেষে সাংস্কৃতিক কর্মী থেকে বিশিষ্ট বর্গ, শিক্ষানুরাগীরা শামিল হন এ-দিনের শোভাযাত্রায়। গীতিনৃত্যের প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে শহর জুড়ে হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। প্রথম সারিতেই চালুনি-কুলো-মঙ্গলঘট নিয়ে আগমনিকে আহ্বান জানান পদযাত্রা থেকে মহিলারা। দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, ‘‘বাঙালির সেরা উৎসবকে ইউনেস্কো হেরিটেজ উৎসব হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বাঙালির সঙ্গে গোটা বাংলাবাসী আপ্লুত। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।’’