প্রতিবেদন: গত অগাস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর ‘অনির্বাচিত’ ইউনুস সরকারের বর্ষপূর্তির মুখে বাংলাদেশ জুড়ে নৈরাজ্য আর অরাজকতার স্পষ্ট ছবি সর্বস্তরে। প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস নিজে অর্থনীতিবিদ হওয়া সত্ত্বেও দেশের অর্থনীতি তলানিতে। সর্বশেষ, রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার মানদণ্ডে বিশ্বের প্রথম পাঁচটি দেশের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে বর্তমান বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুসারে, ইউনুস জমানায় তীব্র খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার মধ্যে থাকা বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি দেশের মধ্যে চতুর্থ স্থানেই আছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক খাদ্যসংকট নিয়ে প্রকাশিত ‘গ্লোবাল রিপোর্ট অন ফুড ক্রাইসিস ২০২৫’–সংক্রান্ত প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন-এসআইআর নিয়ে আলোচনার দাবিতে সংসদে অনড় বিরোধীরা
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রসংঘের পাঁচটি সংস্থা মিলে এই বিষয়ে সর্বশেষ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। সমীক্ষাকারী সংস্থাগুলি হল এফএও, ইফাদ, ডব্লুএফপি, ডব্লুএইচও এবং ইউনিসেফ। রাষ্ট্রসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার দেওয়া ‘গ্লোবাল রিপোর্ট অন ফুড ক্রাইসিস’ শীর্ষক পৃথক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে তীব্র খাদ্যসংকটে থাকা দশটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ স্থানে।
রাষ্ট্রসংঘের উদ্যোগে করা দুই পৃথক প্রতিবেদন অনুসারে, শুধু খাদ্যনিরাপত্তার সংকটই নয়, জনগণের স্বাস্থ্যকর বা সুষম খাদ্যগ্রহণের নিরিখেও অনেক পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। এখনও দেশের ৭ কোটি ৭১ লাখ মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পায় না। দেশের ১০ শতাংশের বেশি মানুষ অপুষ্টির শিকার। তবে রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের দাবি, যথেষ্ট খাদ্য মজুত আছে দেশে। সরকারের তরফে এই রিপোর্ট নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে।