তুহিনশুভ্র আগুয়ান l দিঘা: বর্ষশেষ আর নতুন বর্ষবরণে রঙিন আলোয় পাখনা মেলে ধরল সৈকতসুন্দরী দিঘা। মঙ্গলবার সকাল থেকেই সৈকতশহর জুড়ে পর্যটকদের ঢল লক্ষ্য করা যায়। বড়দিনের আগে থেকেই দিঘা সেজে উঠেছিল রঙিন আলোয়। নিউ দিঘা থেকে ওল্ড দিঘা পর্যন্ত সৈকত সরণির সেই রঙিন পাখনা পর্যটকদের মন কেড়ে নিল। মাঝরাতে বর্ষবরণের আকর্ষণ একেবারে সমুদ্র থেকে উপভোগ করতে কলকাতা-সহ দূরদূরান্ত থেকে মানুষজন দিঘায় এসে পৌঁছন মঙ্গলবারই। রাতে বিভিন্ন হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলিতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নাচগানের পাশাপাশি চলে খানাপিনা। বর্ষবরণে পর্যটকদের সুরক্ষা দিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের তরফে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় গোটা সৈকত চত্বর। সিসি টিভির মাধ্যমে নজরদারির পাশাপাশি মোতায়েন করা হয় সাদা পোশাকের পুলিশ।
আরও পড়ুন-বৈশালীর ব্রোঞ্জ, যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন কার্লসেন-নেপোমনিয়াচ্চি
মহিলাদের নিরাপত্তায় সারা রাত বহাল ছিল উইনার্স টিম এবং পিঙ্ক পেট্রোলিং ভ্যান। যানজট ঠেকাতে বিভিন্ন এজেন্সি দ্বারা দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের তরফে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর শীত কম থাকায় বাড়তি ভিড় লক্ষ্য করা যায় দিঘায়। এক সপ্তাহ আগে পর্যটকদের ভাটা থাকলেও বর্তমানে প্রায় একশো শতাংশ বুক হয়ে গিয়েছে অধিকাংশ হোটেল। রাত বারোটায় বর্ষবরণ উদযাপনে বেশ কিছু হোটেল বিশেষ আতশবাজির আয়োজন করেছিল। মদ্যপদের উপদ্রব রুখতে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ছিল বিশেষ পুলিশ পেট্রোলিং ভ্যান। দিঘা-শংকরপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী জানান, ‘বড়দিনে তেমন ভিড় না থাকলেও বর্ষবরণে ব্যাপক ভিড় রয়েছে। বহু হোটেলের তরফে পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন প্যাকেজ রয়েছে। হোটেলের মধ্যেই বর্ষবরণের আনন্দে মেতে উঠতে পারবেন তাঁরা।’ দিঘায় এবছর বাড়তি আকর্ষণ জগন্নাথ মন্দির। যদিও মন্দিরের দরজা এখনও সাধারণের জন্য খোলা হয়নি। তবে বাইরে থেকেই উঁকি মারছেন বহু পর্যটক। সেলফিও তুলছেন অনেকে। নতুন বছরে জগন্নাথ মন্দির চত্বরের বিভিন্ন রাস্তাও আলোর মোড়কে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান রামনগরের ডিএসপি (ডি অ্যান্ড টি) আবু নূর হোসেন।