প্রতিবেদন : এক দেশ, এক নির্বাচন নিয়ে কড়া আপত্তি জানিয়েছে বিরোধী দলগুলি। এই প্রস্তাব যে এদেশে অবাস্তব, এবার তা বুঝিয়ে দিল নির্বাচন কমিশনও। এক দেশ, এক নির্বাচন হলে ইভিএম কিনতেই বিপুল ব্যয় হবে বলে কেন্দ্রকে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই মোদি-সহ বিজেপি নেতাদের কথায় বারবার উঠে এসেছে এক দেশ, এক নির্বাচনের কথা। এতে খরচ অনেকটাই বাঁচবে বলেও যুক্তি দেওয়া হয়েছে। যদিও কেন্দ্রের আইন মন্ত্রকে নির্বাচন কমিশনের তরফে পেশ করা একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, সারা দেশে একসঙ্গে সমস্ত ভোট করতে গেলে প্রতি ১৫ বছর অন্তর নতুন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন কিনতে হবে। আর সেই অনুযায়ী প্রতি ১৫ বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে শুধুমাত্র ইভিএম কেনা বাবদ। একটি ইভিএমের আয়ু সাধারণত ১৫ বছর হয়। সেই হিসাবে পাঁচ বছর পরপর নির্বাচন হলে একটি ইভিএম ৩ বার ব্যবহার করা যেতে পারে। এমনকী একসঙ্গে নির্বাচন হলে এই মুহূর্তে যে পরিমাণ ইভিএম মজুত রয়েছে তার থেকে তিনগুণ বেশি ইভিএম অবিলম্বে কিনতে হবে আর তার জন্য খরচ হবে কয়েক হাজার কোটি টাকা। লোকসভা নির্বাচনে দেশজুড়ে বুথ সংখ্যা হবে ১১ লক্ষ ৮০ হাজারের মতো। সেই হিসাবে ধরলে প্রতি বুথকেন্দ্রে দু’টি ইভিএম দরকার পড়বে।
আরও পড়ুন-কুচকাওয়াজ থেকে ট্যাবলো, পুরোভাগে নারীবাহিনীর চমক ছাঁটাই সুইগিতে, কাজ হারাবেন ৪০০ কর্মী
এক দেশ, এক নির্বাচন করতে গেলে কী পরিমাণ খরচ পড়বে, তা নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছিল আইনমন্ত্রক। তারই জবাবে বিপুল খরচের বহর কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এমনকী সুষ্ঠুভাবে এক দেশ, এক নির্বাচন করতে গেলে ২০২৯ সালের আগে তা সম্ভব নয় বলেও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।