প্রতিবেদন: ঘটনার প্রায় ৭২ ঘণ্টা পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের পরিস্থিতি পুরোটাই নিয়ন্ত্রণে। সোমবার সকাল থেকে স্বাভাবিক জনজীবন। তবে শনিবারের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এদিন আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ। ধৃত আমতার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি আইএসএফ কর্মী বলেই জানা গিয়েছে। ধর্মতলায় গন্ডগোলের সময় মারমুখী ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে, এমনই দাবি পুলিশের। এদিকে ভাঙড়ে থেকে আর নতুন করে আর কোনও উত্তেজনার খবর নেই।
আরও পড়ুন-নন্দীগ্রামের নাকজিরাচকেও জ্বলল আলো ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, হলদিয়ায় উৎসব
গত শুক্রবার রাতে গুলি চালানোর অভিযোগকে কেন্দ্রে করে অশান্তির সূত্রপাত ভাঙড়ে। শনিবার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ধর্মতলায় দলীয় কর্মসূচি ছিল আইএসএফের। ওই কর্মসূচির নামে ধর্মতলায় ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির নেতৃত্বে তুমুল অশান্তি পাকায় আইএসএফ সমর্থকরা। অবরোধ হঠাতে এগিয়ে আসে পুলিশ। তখন তারা ইট, পাথর ও লাঠি নিয়ে পুলিশকেই উল্টে আক্রমণ করে। মারমুখী আইএসএফ কর্মীদের হাতে জখম হন বউবাজার থানার ওসি এবং অ্যাডিশনাল ওসি। পুলিশ আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি-সহ মোট ৪৩ জনকে গ্রেফতার করে। তাদের মধ্যে ১৮ জনকে পুলিশ হেফাজত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।