সংবাদদাতা, কেতুগ্রাম : নার্সের কবজি কাটার ঘটনায় গ্রেফতার ঘটনার অন্যতম মূল চক্রী। এর আগে আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। তারা জানিয়েছে, ধৃতের নাম চাঁদ মহম্মদ। দুই সুপারি কিলারকে টাকার বিনিময়ে ওই কাজ করতে বলেছিল মূল পান্ডা চাঁদ মহম্মদ। গতকাল মুর্শিদাবাদ থেকে আশরাফ আলি শেখ ও হাবিব শেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই দলের পান্ডা চাঁদ মহম্মদের হদিশ পান তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে হল পাঁচ।
আরও পড়ুন-ললিতা থেকে লালেশ্বরী
প্রথমে শের মহম্মদের বাবা ও মাকে গ্রেফতার করা হয়। তারা জেল হেফাজতে। পরে শের মহম্মদকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। সে পুলিশি হেফাজতে। ধৃতদের আলাদা করে জেরা করছে পুলিশ। ২০১৭-র নভেম্বরে কেতুগ্রামের চিনিসপুরের বাসিন্দা রেণু খাতুনের সঙ্গে কেতুগ্রামের শরিফুল শেখের বিয়ে হয়েছিল। শরিফুল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার। কিছুদিন চাকরির পরে বাবার মুদির দোকানে বসত। বিয়ের পর বেসরকারি নার্সিংহোমে নার্সের কাজ করত রেণু। পরে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ থেকে ট্রেনিং নিয়ে সরকারি হাসপাতালে চাকরি পায়। অভিযোগ, সরকারি চাকরি পেয়ে স্বামীকে ছেড়ে রেণু চলে যেতে পারে এমন আশঙ্কায় দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে ঘুমন্ত স্ত্রীর ডান হাতের কবজি কেটে ফেলে শরিফুল।