এক পয়েন্টই অনেক, বলছে কেকেআর

পয়লা বৈশাখের দিন মুল্লানপুরে আয়োজিত ম্যাচে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ১১২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে, ৯৫ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিলেন নাইটরা

Must read

প্রতিবেদন : পয়লা বৈশাখের দিন মুল্লানপুরে আয়োজিত ম্যাচে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ১১২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে, ৯৫ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিলেন নাইটরা। শনিবার ইডেনে কি ২০২ রান তাড়া করে জেতা আদৌ সম্ভব ছিল?
ম্যাচ পণ্ড হওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠকে এসে বৈভব আরোরা বলে দিলেন, “বলতে পারেন মিশ্র অনুভূতি হচ্ছে। পুরো ম্যাচটা হলে দু’পয়েন্টের জন্য ঝাঁপাতাম। তবে কিছুই না পাওয়ার থেকে এক পয়েন্ট মন্দ নয়।” কেকেআরের পেসার আরও বলেন, “কে বলতে পারে, এই একটা পয়েন্টই হয়তো আমাদের প্লে অফে উঠতে সাহায্য করবে।” নিশ্চিত জয় হাতছাড়া হওয়ার আক্ষেপ পাঞ্জাব শিবিরে। অন্যতম কোচ সুনীল যোশীর বক্তব্য, “আপনি তো আর প্রকৃতির বিরুদ্ধে যেতে পারবেন না। খুব আকর্ষণীয় একটা ম্যাচ ছিল। আমাদের সামনে দু’পয়েন্ট পাওয়ার ভাল সুযোগ ছিল। আমাদের দুই ওপেনার প্রিয়াংশ আর্য, প্রভসিমরন সিং খুব ভাল ব্যাট করেছে। ওরাই বড় রানের ভিত গড়ে দিয়েছিল।”

আরও পড়ুন-দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়েতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মৃ.ত ৬

এদিকে, আইপিএল ও ঘরোয়া ক্রিকেটের পারিশ্রমিকের বিশাল ফারাক নিয়ে মুখ খুললেন সুনীল গাভাসকর। কিংবদন্তি ওপেনারের দাবি, দ্রুত এই বেতন প্রক্রিয়াতে ভারসাম্য আনা হোক। আইপিএলের ইতিহাসে অতীতে বহু ক্রিকেটার আকাশছোঁয়া দর পেয়েছেন একটা মরশুমে ভাল খেলেই। কিন্তু পরের মরশুমে হারিয়ে গিয়েছেন। আবার অনেকেই নিলামে বিশাল দর পেলেও মাঠে নেমে চূড়ান্ত হতাশ করেছে। গাভাসকর নিজের কলামে লিখেছেন, “একটা মরশুমে ভাল খেলেই পরের মরশুমে হারিয়ে গিয়েছে, আইপিএলে এমন নজির বহু রয়েছে। তাই ব্যাটারদের প্রতিভা অনুযায়ী দর পাওয়া উচিত। রঞ্জি ট্রফিতে সারাজীবন খেলে যে অর্থ পাওয়া যায়, তার থেকে বেশ কয়েক গুণ বেশি টাকা পাওয়া যায় একটা মরশুম আইপিএলে খেলেই। দর্শকদের কাছে আইপিএলের জনপ্রিয়তা এবং বিশাল অঙ্কের টিভি সম্প্রচার স্বত্ব থাকার কারণে অর্থের এই বৈষম্য থাকবেই। তবে আইপিএল থেকে তিনগুণ বেশি ঘরোয়া ক্রিকেট যে খেলোয়াড়রা খেলে, তাদের জন্য এটা খুব খারাপ একটা নজির।”
এখানেই না থেমে সানি নিজের কলামে আরও লিখেছেন, “কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দেওয়ার মতো আরও একটা জিনিস উল্লেখ করতে চাই। গোটা মরশুমে রঞ্জি, বিজয় হাজারে ও সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে সব ম্যাচ খেললেও অনেক ক্রিকেটার হয়তো আইপিএলের ন্যূনতম মূল্য ৩০ লক্ষ টাকাও আয় করতে পারবে না। মুম্বইয়ের মতো রাজ্য সংস্থা যদি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের মতোই বেতন ক্রিকেটারদের দিতে পারে, তাহলে এই বৈষম্য কিছুটা হলেও কমবে।”

Latest article