সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি : ফেব্রুয়ারিতেই শুরু হচ্ছে হিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে পাহাড়ের মংপুতে গড়ে উঠেছে হিল বিশ্ববিদ্যালয়। বুধবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের (North Bengal University- Bratya Basu) অনুষ্ঠানে এসে এমনটাই জানালেন। পঠন-পাঠন শুরুর ছয়মাসের মধ্যেই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় এক হাজার অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ করা হবে বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি হস্তান্তর হচ্ছে না বলেও আশ্বস্ত করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি কাউকে দেওয়া হবে না। মন্ত্রিসভায় পাশ হয়েছিল জমি পর্যটন দপ্তরকে হস্তান্তর করা হবে। কিন্তু পরে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে। কোনও বেসরকারি সংস্থাকে জমি হস্তান্তর করা হবে না। আমরা অর্থাৎ সরকার খতিয়ে দেখছে প্রজেক্টটি কোথায় হতে পারে। খুব শীঘ্রই মন্ত্রিসভায় সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে প্রজেক্টটি কোথায় করবে তা পর্যটন দফতর সিদ্ধান্ত নেবে। এদিন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে (North Bengal University- Bratya Basu) গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের চিপ এক্সিকিউটিভ অফিসার অনিত থাপা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। ছিলেন উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্রও। এই বৈঠকেই উত্তরের বিরোধীদের কলুষিত রাজনীতি প্রসঙ্গেও এদিন সরব হন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গ মুখ্যমন্ত্রীর খুব প্রিয় জায়গা। কিন্তু কিছু রাজনৈতিক দল অসহিষ্ণুতা তৈরি করতে চাইছে। গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছে। মুখমন্ত্রী গত ১০ বছরে যা যা করেছে তা গত ৩৪ বছর তো হয়নি। এমনকী স্বাধীনতার পরেও হয়নি। সেই উন্নয়নমূলক কাজগুলি যাতে মুখ্যমন্ত্রী করতে পারে তার জন্য ব্রাত্য বসু সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করে বলেন বিরোধীরা যে হঠকারী জনবিচ্ছিন্ন কাজ করছে তার প্রতিবাদ করুন।