প্রতিবেদন : সাধারণ মানুষের কাছে ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ পৌঁছে দিতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কৃষি দফতর বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাষিদের কাছ থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ শুরু করেছে। মুর্শিদাবাদ, মালদা, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়ার মতো পেঁয়াজ উৎপাদক জেলায় চাষিদের কাছ থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ শুরু হয়েছে। যা ৪৬৮টি সুফল বাংলা স্টল থেকে বাজারের থেকে দু’টাকা কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে। একই সঙ্গে, রাজ্যে আরও এক হাজারটি পেঁয়াজ গোলা তৈরির উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে রাজ্যে চার হাজার পেঁয়াজ গোলা রয়েছে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
তার প্রত্যেকটির ধারণক্ষমতা ৯ থেকে ১০ টন। সেখানে নির্দিষ্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে বাঁশের মাঁচায় পাতা-সহ পেঁয়াজ ঝুলিয়ে রাখা হয়, যাতে তা অন্তত চার থেকে পাঁচ মাস সতেজ থাকে। এই ধরনের গোলা তৈরির ক্ষেত্রে খরচ হয় প্রায় দেড় লক্ষ টাকা। রাজ্যের আর্থিক সহযোগিতায় আগামী একবছরে এ-রাজ্যে আরও এক হাজারটি পেঁয়াজ গোলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, কয়েক মাস আগে থেকেই চাষিদের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্য দিয়ে পেঁয়াজ কেনা শুরু হয়েছে। এবার একেবারে রাজ্যের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট ব্লকের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা যাচ্ছেন কৃষকদের কাছে। সেখানে গিয়ে তাঁরা সরাসরি কথা বলছেন। খোঁজ চালাচ্ছেন কাদের কাদের গোলায় এখনও রাজ্যের উদপাদিত পেঁয়াজ রয়েছে। এইভাবেই আগামী একমাসে কোন কোন জেলার কৃষকদের থেকে পেঁয়াজ কিনে সুফল বাংলার মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করা হবে, তাও চিহ্নিত করে রাখা হচ্ছে।