ডিজিটাল ইন্ডিয়া ( Digital India) নিয়ে অনেক ঢাকঢোল পিটিয়েছিল কেন্দ্রের মোদি সরকার। কিন্তু বিগত ১০ বছরে তা রূপায়ণে শোচনীয় ব্যর্থ বিজেপি-রাজ্যগুলিই। পরিসংখ্যান বলছে, বিজেপিশাসিত ডাবল ইঞ্জিন-রাজ্যগুলিই পিছিয়ে স্কুলে ইন্টারনেট সংযোগে। যোগীরাজ্যের মতো বহু বিজেপি-রাজ্যই ডিজিটাল ভারত গড়ার প্রাথমিক পদক্ষেপেই ব্যর্থ। সম্প্রতি সংসদে কেন্দ্রীয় সরকারের তুলে ধরা পরিসংখ্যানই বলছে সে কথা। উত্তরপ্রদেশ-অসমের তুলনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা অনেক এগিয়ে রয়েছে স্কুলে ইন্টারনেট সংযোগে।
সরকারি স্কুলে ইন্টারনেট সংযোগের হার সিংহভাগ বিজেপিশাসিত রাজ্যেই জাতীয় গড়ের তুলনায় অনেকাংশে কম। সেই তালিকায় রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, অসম, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলি। সবথেকে বেহাল অবস্থা বিহারের সেখানে মাত্র ৫.৮৫ শতাংশ স্কুলে ইন্টারনেট রয়েছে। উত্তরপ্রদেশে ইন্টারনেট রয়েছে মাত্র ৮.৮১ শতাংশ স্কুলে, অসমে ১০.২৯ শতাংশ, উত্তরাখণ্ডে ১৫.৬২ শতাংশ, ত্রিপুরায় ১৬ শতাংশ এবং মধ্যপ্রদেশে ১৭.৭৭ শতাংশ সরকারি স্কুলে ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে। বাংলা রয়েছে বিজেপিশাসিত এই রাজ্যগুলির থেকে উপরে।
আরও পড়ুন-১০ বছরের মধ্যেই মহাকাশ স্টেশন গড়বে ভারত!
কেন্দ্রীয় শিক্ষা রাষ্ট্রমন্ত্রীর সংসদে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করেন। সেখানে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাধের ডিজিটাল ইন্ডিয়া ( Digital India) স্লোগানকে গ্রহণ করেন দেশের সিংহভাগ স্কুল। রিপোর্ট বলছে, ভারতের ৭৬ শতাংশ সরকারি স্কুলে নেই ইন্টারনেট সংযোগ। দেশের মোট ১০ লক্ষ ২২ হাজার ৩৮৬টি সরকারি স্কুল রয়েছে। তার মধ্যে ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে মাত্র ২ লক্ষ ৪৭ হাজার বিদ্যালয়ে। তা মাত্র ২৪.১৬ শতাংশ। ইন্টারনেট সংযোগ নেই সংখ্যার বিচারে ৭ লক্ষ ৭৫ হাজার ৩৮৬টি স্কুলে। তুলনায় ইন্টারনেট সংযোগের ক্ষেত্রে দেশের বেসরকারি স্কুলগুলি এগিয়ে রয়েছে। দেশে বেসরকারি স্কুলের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৩৫ হাজার ৮৪৪টি। তার মধ্যে ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে ২ লক্ষ ২৭৪টি স্কুলে। অর্থাৎ ৬০ শতাংশ বেসরকারি স্কুলেই রয়েছে ইন্টারনেট সংযোগ। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের ১২ হাজার ৯১৮টি সরকারি স্কুলে রয়েছে ইন্টারনেট সংযোগ। ২ হাজার ৫৬৫টি বেসরকারি স্কুলেও রয়েছে ইন্টারনেট। বাংলায় মোট স্কুলের সংখ্যা ৮০ হাজারেরও বেশি। সোমবার লোকসভায় শিক্ষামন্ত্রকের কাছে কংগ্রেস সাংসদ জিকে পারাভি এবং আইইউএমএলের সাংসদ এমপিএ সামাদানি জানতে চেয়েছিলেন, এই মুহূর্তে দেশের কতগুলি সরকারি এবং বেসরকারি বিদ্যালয়ে ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে। তারই জবাবে কেন্দ্রীয় শিক্ষা রাষ্ট্রমন্ত্রী জয়ন্ত চৌধুরী পেশ করেন পরিসংখ্যানে।