প্রাচীন মনসাপুজো করতে হয় ভক্তদেরই

সড়কপথেও বহু মানুষ আসেন। আগের দিন রাত থেকে বহু ভক্ত আসেন। এখানে কোনও পুরোহিত থাকেন না, নিজেই করতে হয় পুজো।

Must read

সংবাদদাতা, মেদিনীপুর : এই মন্দিরে নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো দিলেই পূরণ হয় সকল মনস্কামনা, বিশ্বাস অগণিত ভক্তের। তাই বিশেষ করে চৈত্র মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার মেলাকে কেন্দ্র করে বহু মানুষ ভিড় জমান। পশ্চিম মেদিনীপুরে বহু প্রাচীন কাল থেকেই প্রচার এবং প্রসার মাদপুরের মহিষা গোডগেড়িয়ার মনসাদেবীর পুজোর্চনা সারা বছর ধরে হলেও বছরে একটি দিন বসে মেলা। চৈত্র মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার অর্থাৎ আজ থেকে বড় পুজো হয় এখানে। উদ্যোক্তাদের দাবি, পুলিশ প্রশাসন এবং রেল কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করে মেলা আয়োজনে। একাধিক স্পেশাল ট্রেনও চলে। সড়কপথেও বহু মানুষ আসেন। আগের দিন রাত থেকে বহু ভক্ত আসেন। এখানে কোনও পুরোহিত থাকেন না, নিজেই করতে হয় পুজো।

আরও পড়ুন-সরকারি কর্মী সংগঠনের সম্মেলনে বিপুল হাজিরা

স্বাভাবিকভাবে মানুষের বিশ্বাস এবং ভক্তিতে প্রতিবছর বেশ কয়েক লক্ষ মানুষের ভিড় হয়। প্রাচীন মনসা মন্দিরকে ঘিরে পাঁচদিন ধরে চলে মেলা। থাকে একাধিক সাংস্কৃতিক আয়োজন। নিজের হাতেই পুজো দিতে হয় দেবীর কাছে। মেলাকে ঘিরে রেল দফতরের তরফে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। চলে স্পেশাল ট্রেন। পুজো কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, পুজোর দিন বিশেষ করে মায়েরা কেউ সোনার গহনা পরে মন্দিরে আসবেন না। ছোট শিশুদের আনলে তাদের পকেটে মোবাইল নম্বর কাগজে লিখে রেখে দেবেন। পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও কলকাতার পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা থেকেও বহু মানুষ আসেন এখানে। স্বাভাবিকভাবে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা নেওয়া হয় এই মেলাকে কেন্দ্র করে।

Latest article