‘একমাত্র সুপ্রিম কোর্টই পারে দেশকে বাঁচাতে’ কেজরিওয়ালকে পাশে নিয়ে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানও আজ মঙ্গলবার রয়েছেন নবান্নে। তিন মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হয়েছে নবান্নে।

Must read

মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে দেখা করতে নবান্নে এসেছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানও আজ মঙ্গলবার রয়েছেন নবান্নে। তিন মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হয়েছে নবান্নে। এদিনের বৈঠকে রয়েছেন আপের তিন সাংসদও। দিল্লির সরকারের প্রশাসনিক আমলাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের বিষয় সুপ্রিম কোর্ট বারণ করে দেয়। কেন্দ্রের তরফে এই ঘটনার পর রাজ্যসভায় একটি অর্ডিন্যান্স পাশ করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, এমনই অভিযোগ করে বিরোধীরা। সেই অর্ডিন্যান্স কীভাবে আটকানো যায়, সেই সংক্রান্ত আলোচনা চলছে বলে জানা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন-প্রকাশিত হল নবজোয়ার যাত্রার প্রচার গান, মানুষের অভূতপূর্ব সাড়ায় আপ্লুত অভিষেক

বিমানবন্দর থেকে নবান্নে পৌঁছে গিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও আম আদমি পার্টির নেতারা। তাদের স্বাগত জানাতে নবান্নের নীচে দাঁড়িয়ে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বৈঠক শেষ করে কেজরীবালকে পাশে নিয়ে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি এদিন বলেন, ‘একমাত্র সুপ্রিম কোর্টই পারে দেশকে বাঁচাতে। এভাবে চলতে পারে না। আজও আমরা না বুঝতে পারলে মানুষ আমাদের ক্ষমা করবে না। এভাবে চলতে পারে না। আজও আমরা না বুঝতে পারলে মানুষ আমাদের ক্ষমা করবে না।’

আরও পড়ুন-এবার মালদহে বাজির গুদামে বিস্ফোরণ, নিহত ২

কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে আক্রমণ করে এদিন কেজরিওয়াল বলেন, ‘একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছিল। আমরা সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলাম। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ আমাদের পক্ষে যেতেই এক সপ্তাহের মধ্যে অর্ডিন্যান্স নিয়ে এল। যে সব জায়গায় বিজেপি নেই, সেই সব রাজ্যে ইডি-সিবিআই দিয়ে নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে শুরু করেছে।’

আরও পড়ুন-জামাইষষ্ঠীর দিন অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা রাজ্য সরকারের

এদিন কেজরিওয়াল বলেন, ‘প্রথমত, যেখানে বিজেপি সরকার গঠন করতে পারে না, সেখানে অন্য দলের বিধায়কদের কিনে নিয়ে সেই দলের সরকার ফেলে দেয়। দ্বিতীয় পথ হল, ইডি-সিবিআই-এর মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির অপব্যবহার। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করে ক্ষমতাসীন অন্য দলের বিধায়কদের ভয় দেখিয়ে, ধমকে-চমকে নিজেদের দলে টানে বিজেপি। এইভাবে ওই দলের সরকার ফেলে দিয়ে সরকার গঠন করে বিজেপি। তৃতীয় পথ হল, আইনের অপব্যবহার। যেখানে যেখানে বিজেপি সরকার গঠন করতে পরে না, সেখানে রাজ্যপালকে দিয়ে, অধ্যাদেশ জারি করে অবিজেপি সরকারকে কাজই করতে দেয় না তারা। পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যপালের ভূমিকা দেখুন। পঞ্জাব, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানা সব জায়গায় রাজ্যপালদের এই ভূমিকা দেখা যাচ্ছে। আর দিল্লিতে বিজেপি যা করল, তা তো সম্পূর্ণ গণতন্ত্র বিরোধী।’

আরও পড়ুন-ফের অশান্ত মণিপুর, দোকান-বাড়িতে চলল লুঠপাট

পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘যদি কেন্দ্রের রাজ্যপালদের দিয়েই রাজ্য প্রশাসনগুলি পরিচালনা করতে হয়, তাহলে বিধানসভা ভোট করার কী দরকার?’

Latest article