সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার : উন্নয়নের সমান্তরাল নামই হল তৃণমূল। তাই আমি আলিপুরদুয়ারের উন্নয়নকে আরও ত্বরান্বিত করতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদ নিয়ে এসেছি। আলিপুরদুয়ার পৌঁছে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন সুমন কাঞ্জিলাল। তিনি আরও বলেন, মানুষের জন্য কাজ করব বলেই রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলাম। আমার প্রথম দায়বদ্ধতা আলিপুরদুয়ারের মানুষের প্রতি। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বিজেপি বিধায়ক হিসেবে উন্নয়নের কাজে আত্মসন্তুষ্টি মিলছিল না। অথচ কেন্দ্রীয় সরকারের বেশ কিছু প্রকল্প আছে, যা সাংসদের মাধ্যমে বিধায়কদের যুক্ত করে মানুষের উন্নয়ন করা যায়, কিন্তু তার জন্য অপেক্ষা করে আশাহত হয়েছি।
আরও পড়ুন-তৃণমূলই একমাত্র বিকল্প ত্রিপুরায়: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
সেই সব প্রকল্প নিয়ে কোনও পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি কেন্দ্রীয় সরকার বা সাংসদের তরফে। বিগত দু’বছরে সাংসদের তরফে কোনও সদর্থক বার্তা আমি পাইনি। যখন বিধানসভা এলাকায় গ্রামে গিয়েছি, তখন মানুষের প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছি যে, কেন্দ্র সরকার প্রতিহিংসার রাজনীতি করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে। বিজেপি নেতারা শুধু মুখেই উন্নয়নের কথা বলছেন, কাজে কিছুই করছেন না। অপরদিকে আলিপুরদুয়ারের বেশ কিছু বিষয় নিয়ে বিধানসভায় সোচ্চার হতেই স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী বিশেষ নজর দিয়েছেন সেগুলিতে। তাঁর নির্দেশে আমার তোলা দাবিগুলি নিয়ে দ্রুততার সঙ্গে কাজ হয়েছে। এই বিষয়টি আমাকে অবাক করেছে।
আরও পড়ুন-আগরতলায় তৃণমূলের পদযাত্রায় জনজোয়ার, রোড শো তৃণমূল সুপ্রিমো- অভিষেকের
তাছাড়াও বিজেপির বাংলা ভাগের বিষয়টি আমাকে ব্যথিত করেছে, এই বিষয়টি কখনওই বাংলার মানুষ মেনে নেবে না। তৃণমূল কংগ্রেসর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে আলিপুরদুয়ারের জন্য ভাল করে কাজ করার প্রেরণা দিয়েছেন। সুমন কাঞ্জিলালের কথা প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি প্রকাশ চিক বাড়াইক বলেন, সুমনদা দলে যোগ দেওয়ায় দল আরও শক্তিশালী হল।