প্রতিবেদন : মহারাষ্ট্রে কি ফের অপারেশন পদ্ম? রাজ্য বিজেপি সভাপতি চন্দ্রশেখর বায়ানকুলের মন্তব্যে তেমনই জল্পনা। বিজেপি সভাপতির তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, মহারাষ্ট্রের মানুষ কিছুদিনের মধ্যেই ফের দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে দেখতে পাবেন। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে মহারাষ্ট্র বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন। অধিবেশন শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে নাগপুরে এক অনুষ্ঠানে মহারাষ্ট্র বিজেপির সভাপতির এই মন্তব্যে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে জোটশরিক শিন্ডে শিবিরে।
আরও পড়ুন-প্রতারিত ১০ পরিযায়ী শ্রমিক উদ্ধার তৃণমূল নেতার
জুন মাসে মহারাষ্ট্রে শিবসেনার ভাঙন ধরিয়ে রাজ্যে ক্ষমতা দখল করে বিজেপি। উদ্ধব ঠাকরেকে সরিয়ে বিজেপির সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী হন শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে। সেই সময় গেরুয়া দলের লক্ষ্য ছিল শিবসেনাকে দু’টুকরো করা। তাদের সেই লক্ষ্য সফল হয়েছে। কিন্তু ঘুরপথে, নিজের দল ভেঙে বিজেপির দয়ায় মুখ্যমন্ত্রী হয়েও প্রথম থেকেই অস্বস্তিতে শিন্ডে। প্রশাসনের উপর উপমুখ্যমন্ত্রী ফড়নবিশের প্রকাশ্য কর্তৃত্বের চাপে মুখ্যমন্ত্রী হয়েও কার্যত কোণঠাসা একনাথ শিন্ডে৷ শিন্ডে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সময় শিবসেনার যে বিধায়করা তাঁকে সমর্থন করেছিলেন তাঁদের অনেকেই এখন মন্ত্রিত্ব বা গুরুত্বপূর্ণ পদ না পেয়ে ক্ষুব্ধ।
আরও পড়ুন-ভাইরাসমুক্ত আলুবীজ বঙ্গশ্রী বাড়ছে উৎপাদন, লাভ চাষিদের
অন্যদিকে উদ্ধবের সঙ্গে থাকা কয়েকজন বিধায়ক মনে করছেন, সরকারের সঙ্গে না থাকলে পরের ভোটে তাঁদের জেতা কঠিন হবে। একই মত কংগ্রেস ও এনসিপি বিধায়কদের একাংশের। বিজেপি তলে তলে এইসব বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। যা নিয়ে ক’দিন আগে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে মহারাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি নিজেদের হাতে নিতে চাইছে বিজেপি। সেই কারণে সমস্ত দল ভেঙেচুরে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করতে তৎপর তারা৷ উত্তরপ্রদেশের পর লোকসভার সবচেয়ে বেশি আসন আছে মহারাষ্ট্রে। ফড়নবিশকে মুখ্যমন্ত্রী করে ক্ষমতার রাশ নিজেদের হাতে নিতে তাই শিন্ডেকে ঝেড়ে ফেলতেও পিছপা হবে না মোদি–শাহর দল৷ ভবিষ্যতের এই আশঙ্কাতেই এখন প্রবল চাপে শিবসেনা ভেঙে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া একনাথ শিন্ডে৷