প্রতিবেদন: অপারেশন সিঁদুরের পর অপারেশন মহাদেব (Operation Mahadev)! পহেলগাঁও হামলার ৫৭ দিনের মাথায় অবশেষে খতম মূলচক্রী। সোমবার ঠিক যে সময়ে সংসদে ‘অপারেশন সিঁদুর’ আলোচনা চলছে, ঠিক সেইসময় জম্মু-কাশ্মীরের কাছেই ভারতীয় সেনার অভিযানে নিকেশ হল পহেলগাঁও হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ লস্কর জঙ্গি সুলেমান। সঙ্গে আরও দুই জঙ্গি আবু হামজা ও ইয়াসিরকে নিকেশ করা গিয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা।গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁও উপত্যকায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার মদতপুষ্ট সংগঠন টিআরএফ-এর হামলায় ‘খুন’ হয় ২৫ ভারতীয় পর্যটক ও এক কাশ্মীরি বাসিন্দা। জবাবে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে একের পর এক জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। কিন্তু পহেলগাঁও হামলার নেপথ্যে যে চার জঙ্গির ভূমিকা ছিল, তাঁদের খোঁজ কিছুতেই পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে ঘটনার ৫৭ দিন পর সোমবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুরু হয় নিরাপত্তা বাহিনী, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ও সিআরপিএফ-এর যৌথ অভিযান ‘অপারেশন মহাদেব’ (Operation Mahadev)। শ্রীনগরের কাছে দাচিগামে জঙ্গলে টানা কয়েকদিন ধরে নজরদারির পর জঙ্গিদের অবস্থান নিশ্চিত করে এই অভিযান চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। গুলি-পাল্টা গুলির লড়াই নিকেশ হয় তিন জঙ্গি। তাদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।সেনা সূত্রে খবর, যে এলাকায় জঙ্গিরা লুকিয়ে ছিল সেটির জটিল ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে অভিযান চালানো ছিল চ্যালেঞ্জিং। গোটা এলাকা পায়ে হেঁটে পৌঁছনোর কারণে সেনাবাহিনীকে অতিরিক্ত কৌশল প্রয়োগ করতে হয়েছে। তবে অপারেশন সিঁদুরের মতো অপারেশন মহাদেবও এখানেই শেষ হচ্ছে না। এর মাধ্যমে সেনাবাহিনী ওই পাহাড়ি অঞ্চলে নজরদারি আরও জোরদার করছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় সম্ভাব্য অনুপ্রবেশ এবং জঙ্গি গতিবিধি রুখতে এখন সেনা ও পুলিশের যুগ্ম অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন- বিহারে ভোটার তালিকায় কুকুর! কমিশনকে ধুয়ে দিল তৃণমূল