সুদেষ্ণা ঘােষাল, নয়াদিল্লি: বৃহস্পতিবার অধিবেশনের শেষ দিনে সংসদ উত্তাল হল বাংলা গান, কবিতা, বিক্ষোভ, প্রতিবাদে। সংসদের অন্দরে যেমন কালাকানুন, এসআইআর, ভাষাসন্ত্রাসের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়, তেমনই সংসদ চত্বরে বাংলাকে হেয় করা এবং অপমান করার প্রতিবাদে তৃণমূলের লোকসভা এবং রাজ্যসভার সাংসদেরা ঘুরে ঘুরে গাইলেন রবীন্দ্র-নজরুল গান, করলেন নানা কবিতা আবৃত্তি। অন্য সাংসদেরা দাঁড়িয়ে দেখলেন বাংলার সাংসদদের প্রতিবাদের গান।
আরও পড়ুন-চাপে পড়ে বিমায় কেন্দ্রের জিএসটি প্রত্যাহারের প্রস্তাব
রাজ্যসভায় এদিন অমিত শাহ ঢুকতেই তাদিপার গো-ব্যাক স্লোগান ওঠে। তৃণমূলের সাংসদেরা ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। বুধবার কালাকানুন সংবিধান সংশোধন বিল সংসদে পেশ করে সরকার। প্রতিবাদে উত্তাল হয় বিরোধী শিবির। আজও সেই প্রতিবাদের আঁচ ছিল একই রকম। সংসদের ভিতরে প্রতিবাদের পাশাপাশি সাংসদেরা বাইরে মিছিল করে গোটা সংসদচত্বর ঘুরে ঘুরে বাংলা ভাষা এবং বাঙালির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের প্রতিবাদ জানান। হাতে ছিল পোস্টার। তাতে লেখা বাংলার অপমান মানছি না, মানব না। কখনও তাঁরা গেয়েছেন রবীন্দ্রনাথের গান, কখনও নজরুলগীতি। উদাত্ত কণ্ঠে আবৃত্তি করেছেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, শতাব্দী রায়, সাগরিকা ঘোষ-সহ অন্যরা। তৃণমূল কংগ্রেসের স্পষ্ট কথা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাংলাকে অপমান করছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বাংলার সঙ্গে রাজনীতিতে পেরে না উঠে বিজেপি এখন বাংলা ও বাংলাভাষীদের সরাসরি আক্রমণে নেমেছে। এর জবাব দেবেন বাংলার মানুষ।
আরও পড়ুন-গৃহস্থের বাড়িতে চুরি করে পুলিশের জালে বিজেপির মন্ডল সভাপতির ভাই সহ ৪
প্রতিবাদের সুর এতটাই চড়া ছিল যে, সংসদের শেষ দিনে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানের চা-চক্রের আমন্ত্রণও প্রত্যাখ্যান করেন তৃণমূলের সাংসদেরা। তৃণমূলের সাফ কথা, এই সরকারের সঙ্গে কোনওরকম সহযোগিতার প্রশ্ন আসে না। একদিকে, বাংলাকে এরা হেয় করতে চায়, অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলিকে দুরমুশ করতে কালাকানুন নিয়ে আসছে। এই লড়াই চলতে থাকবে যতদিন না বিজেপিকে কেন্দ্র থেকে সরানো হচ্ছে। বুধবার সংসদে আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজু ন্যক্কারজনকভাবে ধাক্কা মারেন তিন তৃণমূল সাংসদকে। আজ শতাব্দী রায়, মিতালি বাগ এবং মহুয়া মৈত্র স্পিকারকে চিঠি দিয়ে ঘটনার বিহিত করার দাবি জানিয়েছেন।