বিরোধীরা তৃণমূল কংগ্রেসকে কালিমালিপ্ত করতে চেয়েছিল। কিন্তু পুলিশ ওদের পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে। কিছুই করতে পারেনি। জনতার দরবারে উৎসবের মেজাজে যখন ভোট হচ্ছে তখন ওরা রাজ্যপালের কাছে যাচ্ছে। তিনি ওদের দলীয় সদস্য। এখান ওখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ভোট শেষের আগেই বলছে রাস্তা অবরোধ করছে। ওরা মানুষের দরবারে পরাজিত হয়েছে। এভাবেই বিজেপি সহ সিপিএম কংগ্রেসকে ধুয়ে দিলেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি হলেন পবন ভার্মা
সিপিএম ও কংগ্রেসকে জগাই – মাধাই বলে উল্লেখ করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিজেপির লোক নেই। তাই জগাই মাধাইকে সঙ্গে নিয়ে নামতে হচ্ছে। আমি যখন বিরোধী দলনেতা ছিলাম তখন ৩০ জন বিধায়ক নিয়ে মানুষের সঙ্গে আন্দোলন করে দেখিয়ে দিয়েছি। এদের হাতে আন্দোলন করার মতো কোনো ইস্যু নেই। গত পাঁচ বছরের উন্নয়নের নিরিখে মানুষ ভোট দিয়েছেন। কলকাতা তিলোত্তমা হচ্ছে। কলকাতা এখন নিরাপদ শহর। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে।
আরও পড়ুন-তৃণমূলের কেউ অশান্তিতে জড়িত থাকলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, ফের হুঁশিয়ারি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের
ভোট শেষের আগেই কলকাতাকে অশান্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে বিজেপির একাধিক বিধায়ক সল্টলেকে বিরোধী দলনেতার বাড়িতে বৈঠকে বসেছিলেন। কিছু বিধায়ক ছিলেন কলকাতায় বিধায়কদের আবাসনে। খবর পেয়ে পুলিশ, যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। তা নিয়ে বিরোধীরা হইচই করায় মহাসচিব বলেন, নির্বাচন চলছে সেই সময় সল্টলেকে বিজেপির বিধায়করা কি করছিলেন? কিসের পরিকল্পনা করছিলেন? পুলিশ এসব দেখলে তো তদন্ত করবেই।
আরও পড়ুন-“উৎসবের মেজাজে ভোট দিয়েছেন মানুষ’, খুশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
পুলিশ অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছে। দক্ষতার সঙ্গে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। তাদেরকে ধন্যবাদ। কলাকাতাবাসীও কূৎসায় কান না দিয়ে নিজেদের ভোট নিজেরা দিয়েছেন।