প্রতিবেদন : শতাব্দীর সর্ববৃহৎ কেলেঙ্কারি করার পর বিজেপি এখন বাঁচতে আদানির (Gautam Adani) অর্থনৈতিক উপদেষ্টাকে সামনে ঠেলে দিয়েছে। গোটা ঘটনাকে তিনি জালিয়ানওয়ালাবাগের সঙ্গে তুলনা করতেই তৃণমূল কংগ্রেস তাদেরকে ধুয়ে দিল। তৃণমূলের জিজ্ঞাসা, ইডি-সিবিআইয়ের মতো এজেন্সিগুলো এখন কোথায় গেল? কেন তদন্তে নামছে না? কেন নীরবতা? প্রধানমন্ত্রী কেন নিশ্চুপ? তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার (Jawhar Sircar) বলেন, মুখে দেশপ্রেমের কথা বললেই দেশপ্রেমিক হওয়া যায় না। স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করার ইতিহাস যাদের নেই তারা এই তুলনা টানে কোন আক্কেলে? আর এক সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় (Sukhendu Sekhar Roy) মুন্দ্রা বন্দরের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ডিআই রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২১-২২ সালে আদানির মালিকানাধীন ওই বন্দর থেকে ২,৮৮৯ কেজি হেরোইন উদ্ধার হয়। যার মূল্য ২১ হাজার কোটি টাকা। পৃথিবীতে এই পরিমাণ মাদক এর আগে কোথাও পাওয়া যায়নি। তার ঠিক এক বছর আগে ওই বন্দর থেকেই ৯ হাজার কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার হয়। এ প্রসঙ্গ সংসদে তুলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। কিন্তু তাঁকে বলতে দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের অভিযোগ, পানামা পেপার ও প্যান্ডোরা পেপারে আদানির (Gautam Adani) ভাই বিনোদের নাম উঠে আসে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত না করে বারবার আড়াল করার চেষ্টা করেছেন। আর এজেন্সি বিরোধীদের উত্যক্ত করার রাজনীতি শুরু করেছেন। মানুষ বুঝেছেন পর্দার আড়ালে বিজেপির আসল রূপ। আর এই নিয়েই সোমবার ফের উত্তপ্ত হবে সংসদের দুই কক্ষ। সকালে বিরোধীরা গান্ধীমূর্তির তলায় বিক্ষোভ দেখাবেন। তারপর বাজেট নিয়ে আলোচনায় সরকারকে সাঁড়াশি আক্রমণ করতে চাইছে। তৃণমূল কংগ্রেসের স্পষ্ট কথা, সভা মুলতুবি নয়, আলোচনা চায় দল।
আরও পড়ুন-বাংলার মডেলকে সামনে রেখে ইস্তাহার তৃণমূলের, আজ ত্রিপুরায় জননেত্রী ও অভিষেক