প্রতিবেদন : সংসদে (Parliament Attack) হামলার পর থেকে তৃণমূল কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের লাগাতার প্রতিবাদ চলছেই। প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়ছে সংসদের ভিতরে-বাইরে। ইন্ডিয়া জোটের উত্তাল এই প্রতিবাদের সামনে বিজেপির কোনও সাফাই টিকছে না। দিল্লির বুকে প্রতিবাদের সঙ্গে কলকাতাতেও প্রতিবাদের ঝড় তুলে দিয়েছে তৃণমূল। শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী শশী পাঁজা সংসদের নিরাপত্তার গাফিলতি ও হামলা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেই দায়ী করেছেন। শুক্রবার দফায় দফায় উত্তাল হল দুই কক্ষ। প্রথমে দুপুর দুটো পর্যন্ত তারপর সারাদিনের জন্য মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশন। এদিন ১১টার সময় লোকসভা শুরু হতেই দাবি উঠল, গোটা ঘটনার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে— ‘অমিত শাহ শরম করো’। তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার চিফ হুইপ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি জানালেন, অমিত শাহ ইস্তফা দিন।
ইন্ডিয়া জোটের দাবি, বুধবারের সংসদে হামলা (Parliament Attack) নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সদনে এসে বিবৃতি দিতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ইন্ডিয়া জোটের সমস্ত নেতা এবং সাংসদরা পোস্টার হাতে বিক্ষোভ দেখান। শুক্রবার সভা শুরু হতেই পোস্টার হাতে ওয়েলে নামেন সাংসদরা। পোস্টারে লেখা ছিল, প্রধানমন্ত্রী সদনে আসুন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিবৃতি দিন, তানাশাহি নেহি চলেগি, মহীশূরের বিজেপি সংসদকে অবিলম্বে গ্রেফতার এবং বহিষ্কার করা হোক। ইন্ডিয়া জোটের দাবি, নিরাপত্তার ইস্যুতে যেখানে মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছে, সেখানে সভার ভেতরে এতবড় ঘটনার জন্য বিজেপির সাংসদকে গ্রেফতার এবং বহিষ্কার কেন করা হবে না? রাজ্যসভায় সংসদে নিরাপত্তার গাফিলতির আলোচনা চেয়ে বাকি অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড হওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মৌন প্রতিবাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আরও পড়ুন- অভিষেক মামলায় বিস্ফোরক বিচারপতি
শুক্রবার রাজ্যসভায় চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড় ১৩ ডিসেম্বরের নিরাপত্তা লঙ্ঘন নিয়ে আলোচনা করার জন্য ধারা ২৬৭-র অধীনে বিরোধী সাংসদদের দেওয়া ২৩টি নোটিশকে বাতিল করেছেন। লোকসভা এবং রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা শুক্রবার সকালে গান্ধীমূর্তির নিচে হাতে পোস্টার নিয়ে বুধবারের সংসদে হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।