প্রতিবেদন : শুধু চাকরিহারা শিক্ষকেরাই নন, তাঁদের আড়ালে কসবার ডিআই অফিস অভিযানে ছিল বহিরাগতরাও! মূলত তাদের প্ররোচনা ও উসকানিতেই মারমুখী হয়ে ওঠেন শিক্ষকেরা। আর চারদিক থেকে পুলিশের উপর হামলা করা হলে, পুলিশ নিশ্চয়ই চুপচাপ বসে থাকবে না! বুধবারের কসবা ডিআই অফিস অভিযানের বিশৃঙ্খলা নিয়ে শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে এমন কড়া ভাষাতেই যাবতীয় প্রশ্নের জবাব দিলেন কলকাতার নগরপাল মনোজ ভার্মা (Manoj Verma)। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, এটা শিক্ষকদের কর্মসূচি ছিল। সেই অনুযায়ী পুলিশ ব্যবস্থাপনা করা হয়েছিল। কেউই আশা করেনি সেখানে শিক্ষকেরা পুলিশকে এইভাবে আক্রমণ শুরু করবেন, মারামারি করবেন, বিশৃঙ্খলা ছড়াবেন। ওঁদের মূল কর্মসূচি ছিল তালা লাগানো কর্মসূচি। কিন্তু তালা লাগানো আর তালা বন্ধ করা এক জিনিস নয়। আর পুলিশকে কেউ মারধর করবে, তারপরও পুলিশ কোনও অ্যাকশন নেবে না, এটা গ্রহণযোগ্য নয়!
আরও পড়ুন- ১৬ এপ্রিল: ওয়াকফ নিয়ে ইনডোরের সভায় বলবেন মুখ্যমন্ত্রী
এদিন লালবাজারে প্রথমে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি (ক্রাইম) রূপেশ কুমার। বুধবার কসবার ডিআই অফিসে তালা-লাগানো কর্মসূচির আড়ালে কীভাবে পুলিশের একের পর এক ব্যারিকেড ভেঙে শিক্ষকরা মারমুখী হয়ে ওঠেন, কীভাবে গেট ভাঙা ও আগুন লাগানোর প্ররোচনা দেওয়া হয়, বিভিন্ন ভিডিও ও ছবি দেখিয়ে সেই সমস্ত তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরেন জয়েন্ট সিপি (ক্রাইম)। তিনি বলেন, আমাদের মোট ১৩ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। সার্জেন্ট তন্ময় মণ্ডল সবচেয়ে বেশি আহত হয়েছেন। তাঁকে রুবি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এছাড়াও বহু পুলিশ আধিকারিক মারাত্মক আহত হয়েছেন। তারপরই পুলিশ আত্মরক্ষার্থে হালকা বলপ্রয়োগ করেছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নগরপাল মনোজ ভার্মা (Manoj Verma) জানান, পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলে অনেক ন্যারেটিভ ছড়ানো হচ্ছে। শিক্ষকরা পুলিশকে মারধর করবেন, এটা কোনওভাবেই প্রত্যাশিত নয়। যে পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে, তিনি কীভাবে কতটা আহত হয়েছেন, সেটা দেখুন একবার।