পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জবাব দেওয়া শুরু করল ভারত। অপারেশন সিন্দুর (Operation Sindoor)। মধ্যরাতে পাক জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা চালাল ভারতীয় সেনা। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, খতম হয়ছে প্রায় ৯০ জঙ্গি। পাকিস্তানের তরফে হামলার কথা স্বীকার করেছে। পাশাপাশি যোগ্য জবাবের হুঁশিয়ারি দিয়েছে শাহবাজ সরকার।
নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তৈবা এবং হিজবুল মুজাহিদিনের সঙ্গে যুক্ত ৯টি জঙ্গিঘাটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। তবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এখনও হতাহতের সংখ্যা যাচাই করছে। প্রাথমিকভাবে এখনও পর্যন্ত ৮০ থেকে ৯০ জন সন্ত্রাসীকে খতম করার কথা জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন-বালুচিস্তানে বিস্ফোরণে হত ৭ পাকসেনা
এই হামলার পর, পাকিস্তানি বাহিনী জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর গোলাবর্ষণ শুরু করে। তিনজন নাগরিকের প্রাণ গিয়েছে এই ঘটনায়। নিরাপত্তা বাহিনীও পাল্টা জবাব দিচ্ছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, অপারেশন সিন্দুর (Operation Sindoor) স্থল, বায়ু ও নৌসেনার অভিযান। সিন্দুর অপারেশনে প্রথম টার্গেট করা হয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদকে। প্রচণ্ড বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে এলাকা। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে মুজাফফরাবাদ এবং তার আশপাশের এলাকায়। ভারতের মিসাইল হানার পরই পাকিস্তান ৪৮ ঘন্টার জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়। এছাড়া পাকিস্তানের পাঞ্জাবের ভাওয়ালপুরে তিনটি বড় বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভারতের মূল লক্ষ্য পাকিস্তানের জঙ্গি হাটি ঘুরিয়ে দেওয়া। সেইমতো লস্কর-ই-তৈবা এবং জইশ-ই মহম্মদের জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে ভারত ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এর ফলে মঙ্গলবার গভীর রাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে যায়। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুরিদকে, কোতলি, মুজফফরবাদ এবং বাহাওয়ালপুরে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে নিখুঁত হামলা চালিয়ে একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে বলে খবর মিলেছে। এয়ার টু সারফেস মিসাইল ব্যবহার করে এই হামলা চালানো হয়েছে এবং তা সফল হয়েছে বলে জানানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে।