প্রতিবেদন : সাধারণ মানুষের বিভ্রান্তি দূর করতে রাজ্য সরকারের তরফে বিজ্ঞাপন দিয়ে জিএসটি-র হার স্পষ্ট করা হল। সোমবার একাধিক পত্র-পত্রিকায় এই বিজ্ঞাপন লক্ষ্য করা গিয়েছে। এদিন পুজো উদ্বোধনে গিয়ে খিদিরপুর ২৫ পল্লিতে জিএসটি প্রসঙ্গ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, জিএসটি কমানোয় কেন্দ্রের কোনও ভূমিকা নেই। কৃতিত্ব রাজ্যের। এই একটাই কর ছিল। কিন্তু সেই কর-বিন্যাসে সামঞ্জস্য ছিল না। তার বিরোধিতা প্রথম করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছিলাম আমি। কেন্দ্রীয় সরকার জিএসটি কমানোয় বাংলার ২০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হল। কিন্তু সাধারণ মানুষের সুবিধা হওয়ায় সেটা মেনে নিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার, খিদিরপুর ২৫ পল্লির দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই কথা জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-সুষ্ঠুভাবে তৃতীয় সেমিস্টার, মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে ধন্যবাদ সংসদের
কেন্দ্রের নির্দেশমতো সোমবার থেকে লাগু হয়েছে নয়া জিএসটি হার। কিন্তু সকলের কাছে ঠিকমতো তথ্য না দেওয়ায়, সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতির জন্যেও কেন্দ্রকে দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
নাম না করেও কেন্দ্রকে একহাত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তীব্র কটাক্ষ করে তিনি বলেন, এই জিএসটি কমানোতে কেন্দ্রীয় গভর্নমেন্টের কোনও ক্রেডিট নেই। আমিই প্রথম ইনসিওরেন্স থেকে জিএসটি তোলার দাবি তুলেছিলাম। রান্নার জিরেতে জিএসটি, হিরেতে নয়— এটাই তো এদের ন্যায়বিচার! জীবনদায়ী ওষুধেও কর বসানো হয়েছে। আমাদের প্রতিবাদেই জিএসটির নিয়মে বদল আনতে বাধ্য হয়েছে।
কারও নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ক্রেডিট নিচ্ছেন একজন! আত্মনির্ভরের কথা বলছেন, অথচ রাজ্যের টাকা ফেরত দিচ্ছেন না! ১০০ দিনের কাজ থেকে আবাস যোজনা— সব বন্ধ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানান, জিএসটি লাগু করে কেন্দ্র গরিব মানুষের সর্বনাশ করেছিল, আর রাজ্যগুলো থেকে টাকা তুলেছিল। ওদের এক পয়সাও খরচ হয়নি। অথচ এখন কৃতিত্ব নিতে আসছে! তাঁর কথায়, আমাদের ২০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়ে গেল। সংসারটা চালাব কী করে, তবে এতে মানুষের সুবিধা হবে তাই আমি খুশি। তবে যাদের কোনও ক্রেডিট নেই, তাদের জিএসটির নাম নিতে দেব না। এটা মানা যায় না। এ-ব্যাপারে আমরা বিজ্ঞাপন দিয়ে আসল সত্যটা সামনে আনব।
এদিন খিদিরপুর-বেহালার একাধিক পুজো উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ছাড়াও আজ জেলার প্রায় এক হাজারটি পুজোর উদ্বোধন রয়েছে তাঁর।