প্রতিবেদন : পুরুলিয়া থেকে ঝাড়গ্রাম, জঙ্গলমহল ভাসল জনজোয়ারে। শুক্রবার পুরুলিয়ার বান্দোয়ান থেকে বেরিয়ে ঝাড়গ্রামে পৌঁছন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনই নবজোয়ার কর্মসূচির একমাস পূর্ণ হল। শুরু থেকেই জঙ্গলমহলবাসীর মন জয় করে নিয়েছেন অভিষেক। রাস্তায় দাঁড়িয়ে আমজনতার কথা শুনেছেন মন দিয়ে। আদিবাসীরা তাঁদের অভাব-অভিযোগ জানিয়েছেন। কুর্মিরা তাঁদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। অভিষেক আশ্বাস দিয়েছেন সমস্যার সমাধান হবে।
আরও পড়ুন-জরিমানায় স্থগিতাদেশ
শুক্রবার প্রায় দেড়ঘণ্টা দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সেখানেই জোর দেন নিচুতলার কর্মীদের মতামতের উপর। বলেন, সকলে মিলে কাজ করতে হবে। নবজোয়ার কর্মসূচিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পুরুলিয়া যান। শুক্রবার দুপুরে টানা প্রায় দু’ঘণ্টা দলের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি, প্রতিটি ব্লকের সভাপতি, শাখা সংগঠনের নেতা-নেত্রী, মন্ত্রী,সভাধিপতি ও বর্ষীয়ান নেতাদের নিয়ে সভা করেন তিনি। বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ তিনি রওনা দেন ঝাড়গ্রামের উদ্দেশ্যে। পুরুলিয়া ছেড়ে যাওয়ার আগে তিনি কাশীপুর মহিলা ফুটবল অ্যাকাডেমির মেয়েদের প্রত্যেককে কুড়ি হাজার করে টাকা দেন। মানবাজার থানার মানপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী যুবক ঈশ্বর বাউরিকে দেন পঞ্চাশ হাজার টাকা। এছাড়া একটি প্রতিবন্ধী শিশুর চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেন।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
এদিন ঝাড়গ্রামের বিনপুর থেকে কর্মসূচি শুরু করেন অভিষেক। একদিনে গোটা জেলা চষে ফেললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। যে যে রাস্তা দিয়ে গিয়েছেন, সব জায়গাতেই জনজোয়ারে ভেসেছেন। ৮ থেকে ৮০, পার্টি কর্মী-সমর্থকদের বাইরেও প্রচুর সাধারণ মানুষ অভিষেককে একপলক দেখার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। উঠেছে জয়ধ্বনি, স্লোগান। এদিন বিনপুর-২ ব্লকে বেলপাহাড়ির ইন্দিরা চকে প্রথমেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সংবর্ধনা জানান রাজ্যের দুই মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা ও মানস ভুঁইয়া। সেখানে রোড শো-তে জনজোয়ার। এরপর পড়িহাটি রোড শো-তেও জনজোয়ার। এরপর দহিজুড়ি। যেখানেই গেছেন, জনসমুদ্রে ভেসেছেন অভিষেক।