সংবাদদাতা, বেথুয়াডহরি : নদিয়ার বেথুয়াডহরি গ্রামীণ হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্টের দ্বারোদ্ঘাটন করলেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক শশাঙ্ক শেট্টি, বিধায়ক কল্লোল খাঁ, হাসপাতাল সুপার ডাঃ সুকল্যাণ রায়। সাংসদ মহুয়া মৈত্র অক্সিজেন প্লান্টের দ্বার উদঘাটন করতে গিয়ে বলেন নদিয়া জেলায় আমরা করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য চারটি অক্সিজেন প্লান্টের অনুমোদন পাই। এরমধ্যে বেথুয়াডহরি গ্রামীণ হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্টের সূচনা হল। এই অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরি করতে ব্যয় হয়েছে ৭০ লক্ষ টাকা। সাংসদ জানান, আসছে তৃতীয় ঢেউ। আমরা ইতিমধ্যে হারিয়েছি বহু সহনাগরিককে।
আরও পড়ুন :ওয়েবসাইট হ্যাক, অ্যাডমিট ছাড়াই পরীক্ষা দিতে হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের
দেখেছি অক্সিজেনের সঙ্কট। তই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমরা সেই কাজটি করতে সফলতা পেয়েছি। এই গ্রামীণ হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি হয়েছে এবং যেখানে রোগী থাকবেন সেখানে বেডে অক্সিজেন পাবেন। এছাড়া আগামী দিনে এখান থেকেই অক্সিজেন সিলিন্ডার ভরতি করা যাবে। এরফলে কল্যাণী জহরলাল নেহরু হাসপাতালে যেতে হবে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সবরকম উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। সেই সাথে নদিয়া জেলার সব পুলিশ আধিকারিক, নার্স-চিকিৎসক প্রত্যেকেই দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেছেন। করোনা মোকাবিলায় আমরা সাফল্য পেয়েছি। অক্সিজেন প্ল্যান্টের কাজটা দ্রুত বাস্তবায়িত করতে পেরে আমরা খুশি হয়েছি জানালেন স্থানীয় বিধায়ক কল্লোল খাঁ। সাংসদ মহুয়া মৈত্র আরও জানিয়েছেন যে নদিয়া জেলা চাপড়া, করিমপুর, ধুবুলিয়া এবং বেথুয়াডহরি নিয়ে চারটি অক্সিজেন প্ল্যান্টের কাজ শুরু হয়েছে। তার মধ্যে বেথুয়াডহরি গ্রামীণ হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্ট চালু হল। বাকিগুলি দ্রুত চালু করা হবে।