প্রতিবেদন: সন্দেহের আতশকাঁচের নিচে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের ভূমিকা। পহেলগাঁও জঙ্গিহানার ঘটনার পর যতই দায় ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করুক পাকিস্তান, এই সন্ত্রাসবাদীদের পিছনে যে পাক সরকার ও সেনার মদত এবং পাকিস্তানের জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। পহেলগাঁও হত্যাকারীদের কয়েকজন পাক অধিকৃত কাশ্মীরেরই বাসিন্দা। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, কয়েকদিন আগেই এক অনুষ্ঠানে হিন্দুদের নাম করে বিষোদ্গার করেছিলেন পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির (Asim Munir)। ঠিক তারপরই কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে এই ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলা নিছক সমাপতন বলে মনে করছেন না ভারতের গোয়েন্দারা। মঙ্গলবার পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এর দায় স্বীকার করেছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)। ঘটনাচক্রে দিন কয়েক আগেই কাশ্মীরকে পাকিস্তানের গলার শিরা বলেছিলেন পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির। আর তারপরই পহেলগাঁওতে নৃশংস জঙ্গি হামলা। বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদেরই টার্গেট করেছে জঙ্গিরা। ইতিমধ্যেই হামলাকারী চার জঙ্গির ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। এদের মধ্যে দুইজন কাশ্মীরেরই। বাকি দুইজন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দা। হামলার পিছনে যে পাকিস্তানের মদত রয়েছে, তা এখন আরও স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শেষপর্যন্ত চাপে পড়ে দায় এড়ানোর চেষ্টা শুরু করেছে পাকিস্তান। পাক বিদেশমন্ত্রী বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছেন, জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় হামলায় পর্যটকদের মৃত্যুতে আমরা উদ্বিগ্ন। যদিও দিন কয়েক আগেই পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির (Asim Munir) বলেছিলেন, আমাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট। কাশ্মীর আমাদের কণ্ঠের শিরা ছিল, থাকবে। আমরা ভুলব না। আমাদের কাশ্মীরি ভাইদের লড়াই করতে ছেড়ে দেব না। পাক সেনাপ্রধানের এই মন্তব্যের পরেই এই জঙ্গি হামলা, গোটা বিষয়টিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ইতিমধ্যেই পাল্টা প্রত্যাঘাতের দাবি তুলেছে ভারতের আমজনতা। পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসের জবাবে পাক নাগরিকদের ভিসা বাতিল ও বাণিজ্য যোগাযোগ বন্ধেরও দাবি উঠছে।
আরও পড়ুন- রুখে দাঁড়িয়ে প্রাণ দিলেন ঘোড়সওয়ার সইদ