আকাশপথে হামলা জারি পাকিস্তানের। শুক্রবার শাহবাজ শরিফের দেশের হামলা ব্যর্থ করতে সক্রিয় ভারতের আকাশ প্রতিরোধ ব্যবস্থা। উত্তর কাশ্মীরের বারামুডা থেকে গুজরাতের ভুজ পর্যন্ত মোট ২৬টি এলাকায় পাকিস্তানি ড্রোন লক্ষ্য করা গিয়েছে। মূলত জম্মু, বারামুলা, শ্রীনগর, অবন্তীপোরা, নাগরোটা, পঞ্জাবের ফিরোজপুর, পাঠানকোট, রাজস্থানের লালগড়, জয়সলমীর, গুজরাতের ভূজ, কারবেট-সহ ১৪ টি জায়গাকে টার্গেট করা হলেও সবকটি ড্রোন হামলা ভারতীয় (India) সেনা প্রত্যাঘাত করেছে বলে অসমর্থিত সূত্রের খবর। পাশাপাশি ফিরোজপুরের বেসামরিক এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর সর্তকতা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-পাক হামলায় প্রাণ গেল কাশ্মীরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকের
গতকাল প্রধানমন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং সেনাবাহিনীর পদস্থ কর্তারা ফের বৈঠকে বসেন। সন্ধের পর থেকে জম্মু-কাশ্মীরের আপলোড থেকে উধমপুরে ব্ল্যাকআউট করা হয়। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে হরিয়ানার পঞ্চকুলা, আম্বালা, পাঞ্জাবের ফিরোজপুর আর রাজস্থানের জয়সলমীর পুরোপুরি অন্ধকার করে রাখা হয়। রাতেই শ্রীনগর ও পোখরানে পাকিস্তানের ড্রোন হামলা প্রতিহত করেছে ভারতীয় সেনা। জম্মুর নাগরোয়া, সাম্বায় পাক ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। গতকাল রাতে ওমর আবদুল্লা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনার দাবি করে সাধারণ মানুষকে বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করেন। রাতভর ভূস্বর্গের নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপার থেকে ব্যাপক গুলিবর্ষণের খবর দিয়েছে। প্রত্যেকটা হামলার জবাব দিয়েছে ভারত। রাজৌরির অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট কমিশনার রাজকুমার থাপার বাড়িতে একটি শেল পড়ে। প্রথমে গুরুতর আহত হলেও পরে তাঁর মৃত্যু ঘটে। শনিবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ জম্মু শহরে বিরাট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী যুদ্ধের আবহে কেন্দ্রের তরফে দেশের ৩২টি বিমানবন্দর বন্ধ রাখার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।