প্রতিবেদন: আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশ মানেনি পাকিস্তান। উচ্চতর আদালতে আবেদন জানানোর সুযোগই দেওয়া হয়নি কুলভূষণ যাদবকে। পাক সুপ্রিম কোর্টে (Supreme court) একথা স্বীকার করে নিল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। অন্য একটি মামলায় কুলভূষণ যাদবের প্রসঙ্গ ওঠে সেদেশের শীর্ষ আদালতে। তখনই বিষয়টি স্বীকার করে নেওয়া হয় পাক সরকারের পক্ষ থেকে। ২০১৬ সালে কুলভূষণ যাদবকে গ্রেফতার করেছিল পাকিস্তান। বালোচিস্তান-ইরান সীমান্তে ।
আরও পড়ুন-ফের ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল মার্কিন-মুলুক, ক্ষোভ মাস্কের বিরুদ্ধেও
র-এর এজেন্ট হিসাবে ভারতের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ২০১৭ সালে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেয় পাক সামরিক আদালত। ভারত কিন্তু এই অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ করে জানিয়েছিল, প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী যখন তাঁর ব্যবসার কাজে ইরানে গিয়েছিলেন তখন তাঁকে অপহরণ করা হয় চাবাহার বন্দর এলাকায়।পাক নিরাপত্তারক্ষীরাই তাঁকে নিয়ে যায় পাকিস্তানে। কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ডে স্থগিতাদেশ চেয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে ভারত আবেদন জানালে, ভারতের পক্ষেই রায় দেয় আন্তর্জাতিক আদালত। কিন্তু পাক শীর্ষ আদালতেই প্রশ্ন ওঠে, আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের পরেও কেন কূলভূষণকে উচ্চ আদালতে আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়নি? এতদিন পরে পাকিস্তান সরকার আদালতে জানাল, আন্তর্জাতিক আদালত কুলভূষণকে ভারতীয় কূটনীতিকদের সঙ্গে দেখা করার অধিকার দিতে বলেছিল। আবেদন করার অধিকার নিয়ে কিছু বলেনি। তবে ২০২১ বিদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে সামরিক আদালতের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য একটি আইন এসেছে পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে।