প্রতিবেদন : দ্বিতীয় দফায় রবিবার পাকিস্তানের ৩৩তম প্রধানমন্ত্রী হলেন পিএমএল-এন নেতা শাহবাজ শরিফ। শনিবার প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়ন জমা দেন তিনি। রবিবার অনুষ্ঠিত হয় প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচন। শাহবাজ শরিফ পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এবং বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) যৌথ প্রার্থী হিসাবে সেদেশের দায়িত্ব নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন-আসানসোল থেকে লড়তে অস্বীকার করলেন পবন সিং, বাংলার জোর, সরব অভিষেক
পিপিপি ও এমকিউএমের সঙ্গে জোট করে সরকার গঠনের ঘোষণা করেছে পিএমএল-এন। শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই। ইমরান খান পদচ্যুত হওয়ার পর ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের অগাস্ট পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এমনকী সে সময় তিনি পিপিপির সঙ্গে জোট করে সরকার পরিচালনা করেছিলেন। ৩৩৬ সদস্যের পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী হতে শাহবাজ শরিফের ১৬৯ ভোট প্রয়োজন। একই সময়ে, ইমরানের পিটিআই সমর্থিত সাংসদের সংখ্যা ১০২।
আরও পড়ুন-আসন নেই, প্রার্থী আছে, অসমের তালিকায় অজস্র ভুল, বিপাকে বিজেপি
গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এবার কোনও দলই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এই পরিস্থিতিতে শরিফের দল পিপিপি-সহ অন্যান্য দলের সঙ্গে সমঝোতা করে সরকার গঠনে উদ্যোগী হয়। বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপি-সহ চারটি ছোট দল পিএমএল-এনের সঙ্গে জোটে যোগ দিয়েছে। একই সময়ে, পিপিপি তাদের সিনিয়র নেতা এবং বিলাওয়ালের পিতা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারিকে ফের রাষ্ট্রপতি করার শর্ত রেখেছে। আগামী ৯ মার্চের আগে পাকিস্তানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে পারে। সেসময় পিপিপি-কে সমর্থন দেবে পিএমএল-এন।