প্রতিবেদন : কাশ্মীরের পুঞ্চে জঙ্গি হামলার পরই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা সন্দেহ করেছিল সেই হামলায় হাত রয়েছে পাকিস্তান ও চিনের (Pakistan- China)। এরপর গোয়েন্দাদের সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টেও চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয় যেখানে দেখা যাচ্ছে হামলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপেই জঙ্গিরা ব্যবহার করেছে চিনা প্রযুক্তি। অস্ত্র থেকে ক্যামেরা সবই চিনা প্রযুক্তিতে তৈরি। কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ওপর ঘটানো তিনটি আক্রমণেই জঙ্গিদের হাতে চিনের প্রযুক্তি থাকার প্রমাণ মিলেছে বলে খবর। পুঞ্চে হামলার দায় স্বীকার করেছে লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিগোষ্ঠীর একটি শাখা। কাশ্মীরে ২০২৩ সালেই সেনাবাহিনীর ওপর তিনটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। সবক্ষেত্রেই ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী নজরকাড়া এক সাদৃশ্য পেয়েছে, যা দেশের নিরাপত্তার জন্য বড়মাপের আশঙ্কা তৈরি করছে। জঙ্গি আক্রমণের জন্য সংকেত পাঠাতে যে ডিভাইস লস্কর ব্যবহার করেছে তা চিনা প্রযুক্তিতে তৈরি চিনা ডিভাইস। যে স্নাইপার নিয়ে জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছে তাও চিনে (Pakistan- China) তৈরি করা। এমনকী হামলার পর হামলা সংক্রান্ত ছবি শেয়ার করার জন্য যে যন্ত্র তারা ব্যবহার করেছে তাও চিনা প্রযুক্তিতে তৈরি।
পাকিস্তান ও চিনের বৈদেশিক চুক্তিতে দু’দেশের মধ্যে অস্ত্র ও প্রযুক্তি বিনিময়ের শর্ত রয়েছে। অর্থাৎ চিন পাকিস্তানকে নিয়মিত অস্ত্র ও প্রযুক্তি সরবরাহ করে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে পাকিস্তান থেকে ভারতের ওপর হামলা চালানো জঙ্গিগোষ্ঠীর হাতেও সেই চিনা অস্ত্র, এমনকী প্রযুক্তিও। প্রশ্ন ওঠে, জঙ্গিগোষ্ঠী এই প্রযুক্তি কোথা থেকে পাচ্ছে? তাহলে কি পাক প্রশাসনই ভারতবিরোধী কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গিদের এসব সামগ্রী সরবরাহ করছে? যদি পাকিস্তানের থেকেই এই অস্ত্র ও প্রযুক্তি লস্কর, জইশ পেয়ে থাকে তাহলে কাশ্মীরে নাশকতার পিছনে পাক প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদতের অভিযোগই প্রতিষ্ঠিত হয়। একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, নাশকতার ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর এত দেরিতে গোয়েন্দাদের ঘুম ভাঙছে কেন?
আরও পড়ুন- লোকসভার আগে আবার বিজেপির এজেন্সি তৎপরতা, ইডির চার্জশিটে নাম লালুর মেয়ে-বউয়ের