মৌসুমী দাস পাত্র, নদিয়া: নদিয়ার পলাশি প্রান্তর ও মনুমেন্ট, বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্য, মায়াপুরের ইস্কন মন্দির বা একসময় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বলে কথিত নবদ্বীপকে কেন্দ্র করে জেলায় আলাদা আলাদা বেশ কিছু জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পট রয়েছে। বছরের শেষ ছুটির মরশুম ও ইংরেজি নতুন বছরকে ঘিরে পর্যটকদের প্রভূত ভিড় হয় এইসব কেন্দ্রগুলিতে। আর তাই ছোট-বড় সমস্ত স্তরের ব্যবসায়ীরা এই সময় দুটো বাড়তি অর্থ উপার্জনের আশায় থাকেন।
আরও পড়ুন-সেজে উঠছে কথাশিল্পী শরৎচন্দ্রের জন্মভিটে
ইতিমধ্যেই নবদ্বীপ ও মায়াপুরের বিভিন্ন মঠ, মন্দিরগুলিতে পুণ্যার্থী এবং বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্য বা পলাশিতে পর্যটকদের ভিড় শুরু হয়েও গিয়েছে। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলিতে বাড়ছে মানুষের ঢল। প্রতিদিন নবদ্বীপ ও মায়াপুরে যাওয়ার লঞ্চ ও নৌকাগুলিতে উপচে পড়ছে ভিড়। ডিসেম্বরের শেষ দুদিন ও ১ জানুয়ারি মিলে টানা তিনদিন অনেকের ছুটি থাকায় আজ থেকে সেই ভিড় আরও বাড়বে বলেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। মায়াপুর ইস্কন মন্দিরের গেস্ট হাউসগুলিতে ইতিমধ্যেই অনলাইনের মাধ্যমে ঘর বুক করে ফেলেছেন পর্যটকেরা। ভিড় বাড়ার ফলে স্থানীয় অধিকাংশ হোটেল মালিকরাও বেশ খুশি। ফেরিঘাটে নৌকা ও লঞ্চ দুটিতেই পর্যটকদের ব্যাপক ভিড় চোখে পড়ছে। বাঁকুড়া থেকে মায়াপুর ঘুরতে আসা পর্যটক অনন্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, এই সময়টা আমরা সকলেই একটু হাল্কা থাকি। তাই এখনই ঘোরার জন্য সময় বের করে এসেছি। খুব ভাল লাগছে।
আরও পড়ুন-অমানবিক রেলের উচ্ছেদ, গৃহহারা গরিব, মানুষের পাশে তৃণমূল, পুনর্বাসনের দাবি
মায়াপুর হুলোরঘাট থেকে পেট্রল পাম্প পর্যন্ত একাধিক হোটেল ও লজ আছে। সেগুলোর বেশিরভাগ বুক হয়ে গিয়েছে। এমনকি জানুয়ারি পর্যন্ত ইস্কনের সমস্ত গেস্টহাউসের ঘরও পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে। ভিড়ের কথা মাথায় রেখে নবদ্বীপ-মায়াপুরের মধ্যে পাঁচটি লঞ্চ ও পাঁচটি করে নৌকা যাতায়াত করছে। নবদ্বীপ-স্বরূপগঞ্জ, মায়াপুর হুলোরঘাট থেকে স্বরূপগঞ্জ রেলবাজার এই দুটি ঘাটের মধ্যে তিনটি নৌকা যাতায়াত করছে। এছাড়া অতিরিক্ত নৌকাও রাখা হয়েছে। ফেরিঘাটগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসন সতর্ক বহিরাগত ও স্থানীয় পর্যটকদের নিরাপদ সফরের যাবতীয় বিষয়ে। আগামী কয়েক দিন পুলিশ ও প্রশাসন তৈরি থাকছে জেলার দ্রষ্টব্য স্থানগুলিতে আগত দর্শনার্থীদের ভিড় সামাল দিতে।