প্রতিবেদন : টেলি অভিনেত্রী পল্লবী দে-র (Pallavi Dey Death) লিভ-ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তীকে (Sagnik Chakraborty) ৯ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। বুধবার সাগ্নিককে আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। ২৬ মে পর্যন্ত তাঁকে পুলিশ হেফাজতে (Police Custody) রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। রবিবার গাঙ্গুলিবাগানের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ। সাগ্নিক এবং তাঁর হাওড়ার বান্ধবী ঐন্দ্রিলার বিরুদ্ধে সোমবার গড়ফা থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন পল্লবীর বাবা-মা। এরপরেই পুলিশ ম্যারাথন জেরা করে সাগ্নিককে। মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। জিজ্ঞাসাবাদ এবং তদন্তের সূত্রে উঠে আসছে অনেক নতুন তথ্য। সাগ্নিকের স্কুলের বান্ধবী জগাছার বাসিন্দা সৌমী মণ্ডলও ২০১৪ সালে আত্মহত্যা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন সৌমীর বাবা। সেই আত্মহত্যার নেপথ্যেও সাগ্নিকই, অভিযোগ সৌমীর বাবার। তদন্তকারীদের হাতে এসেছে পল্লবী এবং সাগ্নিকের মধ্যে আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত নথি এবং তথ্যও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সাগ্নিকের আয়ের উৎস নিয়েও সন্দিহান তদন্তকারীরা। খুনের পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলাও দায়ের করেছে পুলিশ। এদিকে পল্লবীর পরিচারিকা অভিযোগ করেছেন, কাজের সূত্রে পল্লবী যখন বাইরে যেতেন তখন বিভিন্ন মহিলাকে নিয়ে তাঁর ফ্ল্যাটে থাকতেন সাগ্নিক।
আরও পড়ুন: গুজরাতে লবণ কারখানার দেওয়াল চাপা পড়ে প্রাণ হারালেন ১২ জন শ্রমিক