সংবাদদাতা, দাসপুর : ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানকে বাস্তবায়িত করতে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। সেইমতো প্রাথমিক পর্যায়ে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরু হতেই দাসপুর ও ঘাটালে কিছু কৃষক ও ব্যবসায়ী আন্দোলন শুরু করেছেন। প্রসঙ্গত, ১২টি পর্যায়ে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ রূপায়িত হবে। যার একটি পর্যায় হল দাসপুরে চন্দ্রেশ্বর খাল সম্প্রসারণ ও খনন। এর জন্য কেনা হবে জমি। কিন্তু জমি দিতে নারাজ দাসপুরের কৃষকেরা শুরু করেছেন আন্দোলন। কৃষক ও স্থানীয় মানুষকে বোঝানোর লক্ষ্যে লিফলেট ও ভিডিও ক্লিপ তৈরি করেছে সেচ দফতর। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে চন্দ্রেশ্বর খাল খননের ফলে কীভাবে উপকৃত হবেন এলাকার কৃষক এবং সাধারণ মানুষ। ঘাটালে মূলত শিলাবতী নদীর জলে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। শিলাবতীর জল ঘাটার শহর হয়ে ৪৫ কিলোমিটার ঘুরপথে রূপনারায়ণ গিয়ে পড়ে। দাসপুরের বৈকন্ঠপুর থেকে গুডলি পর্যন্ত চন্দ্রেশ্বর খাল সম্প্রসারণ ও খনন হলে কুড়ি কিলোমিটারের মধ্যেই শিলাবতীর জল গিয়ে পড়বে রূপনারায়ণে। ফলে শিলাবতীর জলের চাপ কমবে। একইভাবে ঘাটালেও আন্দোলন শুরু করেছেন শিলাবতী নদীর পশ্চিম পাড়ের ব্যবসায়ী থেকে কৃষকেরা। মহকুমা প্রশাসনের দাবি, ঘাটালেও স্থানীয় মানুষদের বোঝানোর জন্য লিফলেট ও ভিডিও ক্লিপিং তৈরি করার আবেদন করা হয়েছে সেচ দফতরের কাছে। এককথায় ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কী রূপরেখা এবং তা কার্যকর হলে মানুষের কী সুবিধা হবে সব তথ্যই থাকবে এই হ্যান্ডবিল ও ভিডিও ক্লিপে। ঘাটাল মহকুমা প্রশাসনের দাবি, অধিকাংশ কৃষক জমি দিতে সম্মতিপত্র সই করেছেন। কিছু কৃষক যাঁরা জমি দিতে চাইছেন না তাঁদেরকেও বোঝানো হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই সকলে জমি দেওয়ার সম্মতিপত্রে সই করবেন। প্রশাসন থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে জোর করে কোনও কৃষকের জমি নেওয়া হবে না। উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিয়েই কৃষকদের কাছ থেকে জমি নেবে সরকার। এলাকার কিছু কৃষক ও কিছু ব্যবসায়ীর আপত্তি থাকলেও বৃহত্তর ঘাটালবাসী চাইছেন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান দ্রুত কার্যকর হোক।
ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণে মানুষকে বোঝাতে প্রচার শুরু পঞ্চায়েত সমিতির, ক্ষতিপূরণ দিয়েই কৃষকদের থেকে জমি নেবে সরকার
সেইমতো প্রাথমিক পর্যায়ে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরু হতেই দাসপুর ও ঘাটালে কিছু কৃষক ও ব্যবসায়ী আন্দোলন শুরু করেছেন।
