প্রতিবেদন : ফের অঙ্গদানের নজির কলকাতায়। মারণ স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল দশ বছরের ছোট্ট ছেলে হার্দিক রায়ের। ছেলের মৃত্যুতে ভেঙে পড়লেও কিছুক্ষণের মধ্যে মনকে শক্ত করে মৃত ছেলের অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেন বাবা-মা। নিজেদের শিশুপুত্র না আর ফিরে না এলেও অন্যের দৃষ্টিতেই তাকে বাঁচিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেন দু’জন।
আরও পড়ুন-বঙ্গগৌরব পাচ্ছেন নাসা-স্বীকৃত বিজ্ঞানী উজ্জ্বল
এই ভাবনা থেকেই ছোট্ট হার্দিকের চোখ দুটি কলকাতার এক হাসপাতালে দান করেন তাঁরা। আর মৃত হার্দিকের দান করা সেই কর্নিয়াতেই দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেল আরও দু’টি ছোট্ট ছেলেমেয়ে। এতে প্রচণ্ড খুশি হার্দিকের বাবা-মা। মালদহের বৈষ্ণবনগরে চোদ্দো বছরের এক কিশোরী গত বছর মৌমাছির কামড় খেয়ে দৃষ্টি শক্তি হারায়। রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ অপথ্যালমোলজিতে হার্দিকের একটি কর্নিয়া প্রতিস্থাপিত করা হয় তাঁরই চোখে। আর তাতেই দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেল ক্লাস সেভেনের ছাত্রীটি।
আরও পড়ুন-ভোটে বিজেপির কারচুপি, বিস্ফোরক গবেষণাপত্র
হার্দিকের দ্বিতীয় কর্নিয়া পেয়ে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেল বীরভূমের পাড়ুইয়ের ক্লাস ফোরের এক ছাত্র। গত বছর মার্চ মাসে ব্যাটারি নিয়ে খেলার সময় ব্যাটারি ফেটে গুরুতর জখম হয় তার বাঁ চোখ। তাতেই দৃষ্টি হারায় সে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তারই চোখে হার্দিকের দ্বিতীয় কর্নিয়াটি প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে। এভাবেই তাঁদের মাধ্যমে বেঁচে রইল ছোট্ট হার্দিক।