প্রতিবেদন : তিনি তরুণ বাঙালি শিল্পোদ্যোগী। তাঁর পেশার মাধ্যমে আগেই বাংলার মুখ উজ্জ্বল করেছেন সায়ন চক্রবর্তী। এবার প্যারিসে প্রকাশিত হল তাঁর লেখা বই ‘WTF’। এদিন প্রথম ভারতীয় বিজনেস বুক হিসেবে প্যারিসে Station F থেকে এই বই প্রকাশ করা হয়।
বিশ্বের তাবড় স্টার্টআপ কোম্পানির অফিস রয়েছে এই Station F-এ। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রনও যান সেখানে। সেখান থেকেই সায়নের লেখা বইটি প্রকাশিত হয়। সায়ন চক্রবর্তী জানান, নামকরা স্টার্টআপ কোম্পানির অফিস যেখানে রয়েছে, সেই Station F থেকে তাঁর বই প্রকাশ হওয়ায় তিনি আপ্লুত। তবে এই প্রকাশের জন্য তিনি কৃতজ্ঞ রতন টাটার কাছে। সায়নের কথায়, তিনি তাঁকে এভাবে সহযোগিতা করাতেই এটা সম্ভব হল। ইতিমধ্যেই Station F-এর বইয়ের ডিসপ্লেতে জায়গা পেয়েছে বাঙালি তরুণের লেখা বই।
আরও পড়ুন-ভারতের প্রথম টিকাকরণে পথ দেখিয়েছিল বাংলাই
কলকাতার সায়ন চক্রবর্তীর বয়স মাত্র ২৬ বছর। আড়াই হাজার টাকা নিয়ে স্যান্ডউইচের ব্যবসা শুরু করেছিলেন। এখন আয় লক্ষ লক্ষ টাকা। কিন্তু লকডাউনের সময় হতাশা গ্রাস করেছিল এই তরুণকে। তবে, ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন তিনি। চেয়েছিলেন নিজের লড়াইয়ের কাহিনী জানুক সারা বিশ্ব। সেইখান থেকেই কলম ধরা। কী ভাবে সাফল্য এসেছে জীবনে? এই প্রশ্নের উত্তর সায়ন দিয়েছেন তাঁর বইতে। সম্প্রতি বাংলা এবং ইংরেজি প্রকাশিত হয়েছে তাঁর লেখা বইটি। সেই বই কোনও ভাবে পৌঁছে গিয়েছিল খোদ রতন টাটার হাতে। রতনে রতন চিনেছে। বই পড়ে এতটাই অভিভূত রতন টাটা চিঠিই লিখে ফেলেছেন সায়নকে। বিশ্ব বিখ্যাত এই শিল্পপতি ইমেলে সায়নকে লেখেন, “তোমার কথা শুনে আমি খুবই আনন্দিত। একই সঙ্গে গর্বিত। যে ভাবে ব্যবসার ইচ্ছাটা ধরে রেখে তুমি সফল হয়েছ, তা শুনে আমি মুগ্ধ। আশা করি একদিন তোমার সঙ্গে ঠিক দেখা হবে।” সায়নের লেখা সেই বই প্যারিসে প্রকাশিত হল। ডিসেম্বর থেকে পাওয়া যাবে এদেশে। তবে, ফ্রান্স থেকে বই নিয়ে এখন বাংলাদেশ যাবেন সায়ন। ঢাকা ইউনিভার্সিটি-সহ বেশ কিছু জায়গায় বইটি প্রকাশ পাবে। একজন ভারতীয়র লেখা বাংলা বই নিয়ে ইতিমধ্যেই উৎসাহী বাংলাদেশ-সহ সারা বিশ্বের বাঙালি পাঠকরা। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি কলকাতা মিলবে সায়নের বই।