প্রতিবেদন : সংসদে হামলার (Parliament Attack) বিষয়ে একাধিক বিকল্প পরিকল্পনা ছকেছিলেন অভিযুক্তরা। গ্রেফতারির পর পুলিশি জেরায় তাঁদের স্বীকারোক্তি থেকে এমনই নানা বিষয় উঠে আসছে। প্রথম পরিকল্পনা সফল না হলে দ্বিতীয় পরিকল্পনার কথাও ভাবা হয়েছিল। পুলিশি জেরায় অন্যতম অভিযুক্ত সাগর শর্মার দাবি, নিজেদের দাবি আদায়ে গায়ে আগুন ধরানোর কথা প্রথমে ভেবেছিলেন তাঁরা। গায়ে আগুন দিলে যাতে প্রাণহানি না ঘটে সে জন্যও অগ্নিপ্রতিরোধক বিশেষ জেল শরীরে মাখতে অনলাইনে তা কেনা হয়। সাগররা চেয়েছিলেন, তাঁদের কর্মসূচি দেশ জুড়ে সাড়া ফেলে দেবে। তাই গায়ে আগুন লাগানোর পরিকল্পনার পাশাপাশি সংসদের ভিতরে লিফলেট বিলি করার পরিকল্পাও ছিল তাঁদের। যদিও শেষমেশ গায়ে আগুন লাগানোর ভাবনা থেকে পিছিয়ে আসেন তাঁরা।
সংসদে হামলার (Parliament Attack) ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৬ অভিযুক্তকে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই জানা যাচ্ছে, বেকারত্বের বিরুদ্ধে নজরকাড়া প্রতিবাদ করে সরকারকে চাপে ফেলার কৌশল নিতেই তাঁদের সংসদে হামলা-কর্মসূচি। টানা জেরায় তদন্তকারীরা জানার চেষ্টা করছেন আর কী কী ভাবে আন্দোলন করতে চেয়েছিলেন তাঁরা? গত বুধবার সংসদের ভিতরে রংবোমা নিয়ে হামলা চালিয়ে শোরগোল ফেলে দেন সাগর শর্মা ও মনোরঞ্জন ডি নামে দুই যুবক। সংসদের বাইরে তখন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলে নীলম আজাদ ও অমল শিন্ডে। পরে এই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ললিত ঝা-কে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার আরও এক অভিযুক্ত মহেশ কুমাওয়াতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় দেশদ্রোহের মামলা করেছে দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল।
আরও পড়ুন- গাড়িচাপা দিয়ে প্রেমিকাকে খুনের চেষ্টা বিজেপি নেতাপুত্রের