“সুব্রতদাকে নিয়ে আজকে কিছু বলতে হবে ভাবিনি”, বিধানসভায় পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিচারণায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সুব্রতদাকে নিয়ে আজকে কিছু বলতে হবে আর তাঁর সিট ফাঁকা ভাবা যায় না। কোনওদিন ভাবিনি রাজনীতি করব। নাকতলায় পাড়ায় আড্ডা দিচ্ছি। শোভনদেবদা টাক্সি থেকে নেমে এসে বলল ছাত্র পরিষদ করবি। একডালিয়ায় জীবনদার রেশন দোকানের ওপর থাকে তখন৷ আমার দুটো জিনিস চোখের সামনে ভাসে প্রিয়দা, সুব্রত দা দু’জনে বসুশ্রী সিনেমায় আসতেন আড্ডা দিতে মন্টু দার ওখানে। বসন্ত কেবিন থেকে খাবার আসত। আন্দোলন করতে গিয়ে মারও খেয়েছি। কল্যাণী সীমান্ত স্টেশনে গিয়েছিলাম। সেখানেও গন্ডোগোল। মানস ভুঁইয়ার বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। সুব্রতদা আমায় নিয়ে গিয়েছিল। প্রিয়দা-সুব্রতদা কখন যে কি করবে কেউ জানত না। কত কথা মনে পড়ছে। জীবনের প্রতিপদক্ষেপে ছাত্র আন্দোলনে সুব্রত দার সঙ্গে জড়িয়ে ছিলাম। যা বলত তাই শুনতাম। অনেক কথা হয়ত সুব্রত দাকে বলতে পারিনি। বৌদিকে বলেছি। এমন বৌদি পাওয়া দুস্কর। ঘাটাল যাওয়ার কথা ছিল। সুব্রত দা শুধু রাজনীতির গুরু ছিলেন না। বাড়ির বড়দা ছিলেন। মা মারা গেল। বাড়িতে এল। কতসময় বসে থাকল। কথা বলল। তখনও কি জানি চার মাসের মধ্যে তুমিও চলে যাবে। আমার মার সঙ্গে বৌদির খুব ভাব ছিল। সুব্রতদা সে সময় স্বরাষ্ট্র দফতরের দায়িত্ব পাওয়ার পর বহু নকশালের জেল মুক্তি ঘটিয়েছে। আমায় বলত মমতা গরীবের মেয়ে ওকে উঠতে দে। সংগ্রামী নেতা না থাকলে সংগ্রামী নেত্রী তৈরি হয় না। সংগ্রাম তৈরি হয় না। আন্দোলন তৈরি হয় না। বৌদি ভালো থাকো।”
আরও পড়ুন-“মমতা বড় মনের মানুষ”, দলনেত্রীর প্রশংসায় রেজ্জাক মোল্লা