প্রতিবেদন : রাজ্যের গ্রামীণ অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ একশো দিনের কাজের টাকা প্রায় তিন বছর ধরে বন্ধ রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে মুখ থুবড়ে পড়ে গ্রামীণ অর্থনীতি। কেন্দ্রের মোদি সরকারের এই অনৈতিক কাজে কর্মদিবস তৈরি হচ্ছিল না। এই পরিস্থিতিতে গ্রামীণ অর্থনীতিকে ফের চাঙ্গা করে তুলতে আসরে নামেন বাংলার মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর চালু করা ‘কর্মশ্রী’ প্রকল্পকে ঘিরেই ঘুরে দাঁড়ানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। কর্মশ্রী প্রকল্পে ২০২৪-২০২৫ অর্থবর্ষে এখনও পর্যন্ত গোটা রাজ্যে প্রায় ১১ লক্ষ জব কার্ড হোল্ডারদের জন্য ৫ কোটি ৩২ লক্ষ কর্মদিবস তৈরি করেছে বাংলার মা মাটি মানুষের সরকার। এই কর্মদিবস তৈরিতে রাজ্যের মধ্যে সেরা হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur)। জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি বলেন, ‘বেশি সংখ্যক জব কার্ড হোল্ডারদের এই প্রকল্পে যুক্ত করার জন্য সব চেষ্টাই চলছে। পঞ্চায়েত, পূর্ত, জনস্বাস্থ্য ইত্যাদি সব দফতরের কাজই যাতে জব কার্ড হোল্ডাররা পান, সেজন্য বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের আগে একশো দিনের কাজের জন্য কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের জব কার্ড হোল্ডারদের প্রাপ্য বকেয়া মিটিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি রাজ্যের বিকল্প ‘কর্মশ্রী’ প্রকল্পে বছরে অন্তত ৫০ দিন কাজের গ্যারান্টি দেন তিনি। চলতি অর্থবর্ষে কর্মশ্রী প্রকল্পে প্রায় ৭৫ লক্ষ জব কার্ড হোল্ডারকে ৫০ দিনের কাজ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে পঞ্চায়েত দফতর।জানা গিয়েচে, মাত্র সাড়ে তিন মাসেই গোটা রাজ্যে ৮৪ হাজার প্রকল্পে ১১ লক্ষ জব কার্ড হোল্ডারকে কাজ দিয়েছে সরকার। এর ফলে কর্মদিবস তৈরি হয়েছে প্রায় ৫ কোটি ৩২ লক্ষ। সরকার খরচ করেছে ১,০৭৪ কোটি টাকা। জব কার্ড হোল্ডাররা গড়েকাজ পেয়েছেন ৪৮ দিনের। ৭১ লক্ষ ৯ হাজার কর্মদিবস তৈরি করে শীর্ষে আছে পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur)। এই জেলায় ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৫৫৯ জন ৫৫ দিন করে কাজ পেয়েছেন। এর পরই পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান ও বাঁকুড়ার স্থান।
আরও পড়ুন-ক্লাবের ট্রফি-খিদে মুগ্ধ করেছে মোহনবাগানে সই করে ম্যাকলারেন