প্রতিবেদন : দুর্ভোগ কাটছে না শিয়ালদহ মেন লাইনের যাত্রীদের। ঢাকঢোল পিটিয়ে ২০/২২ দিন ধরে একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। কারণ ইন্টারলকিং সিস্টেমকে আরও মজবুত করা। সেইসঙ্গে কল্যাণী থেকে তৃতীয় লাইনের কাজ শেষ করা। বৃহত্তর স্বার্থে মেনলাইনের যাত্রীরা দুর্ভোগ মেনে নিয়েছেন। এমনকী উচ্চমাধ্যমিক সিবিএসসি, আইসিএসসি পরীক্ষার্থীরা চরম কষ্ট করেও পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছেছেন। পূর্ব রেলের ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবারই এই কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু এরপরেও যাত্রীদের দুর্ভোগ কমেনি।
আরও পড়ুন-টেটে ইন্টারভিউ শেষ মে মাসে
গত বুধবার সন্ধ্যার পর থেকেই একাধিক লোকাল ৪০ থেকে ৫০ মিনিট পর্যন্ত দেরিতে ছেড়েছে। এর জেরে বিধাননগর ও দমদমের যাত্রীদের ব্যাপক নাকাল হতে হয়েছে। কেন এই অবস্থা? এ নিয়ে স্টেশনে স্টেশনে কোনও ঘোষণা পর্যন্ত করা হয়নি। কোন ট্রেন কখন ছাড়বে তা বোর্ডে লেখা থাকলেও বাস্তবে তারসঙ্গে কোনও মিল নেই। এরমধ্যেই চরম বিপাকে পড়েছেন সবজি, দুধ ও মাছ ব্যবসায়ীরা। সংকটে ছানা ব্যবসায়ীরা। কারণ এইসব লোকালে বিভিন্ন স্টেশন থেকে সবজি, মাছ, ছানা কলকাতার বাজারে নিয়ে আসেন ব্যবসায়ীরা। ট্রেন আটকে পড়ায় এবং না থাকায় পচে যাচ্ছে এইসব পণ্যসামগ্রী। এরসঙ্গে দুর্ভোগ বেড়েছে রোগীদের। বৃদ্ধ, শিশু, গরিব রোগীরা কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে আসেন চিকিৎসার জন্য। অনেকে হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে বাড়ি ফেরেন। এই দুই ক্ষেত্রেই সংকটে রোগী এবং তাঁদের পরিবারেরা।
আরও পড়ুন-নির্বিঘ্নে শুরু এসএসসির কাউন্সেলিং
পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্রর দাবি, কাজ সম্পূর্ণ। দু’-একদিন দুর্ভোগ হচ্ছে ঠিকই, অচিরেই তা মিটে যাবে। কারণ কল্যাণ থেকে তৃতীয় লাইনের কাজের ছাড়পত্র মিলেছে। ওই লাইনে ট্রেন চালু হলে আর লোকাল ট্রেন দেরি করবে না। মেন লাইনের পাশাপাশি বনগাঁ, হাসনাবাদ শাখাতেও কমবেশি আধঘণ্টা দেরিতে চলছে লোকাল। তাই শিয়ালদহের নিত্যযাত্রীদের জনরোষ বাড়ছে। ইতিমধ্যে বিক্ষোভও হয়েছে। কবে রেল সজাগ হবে?