বাসযাত্রীর প্রাণ বাঁচালেন ট্রাফিক পুলিশ

হাসপাতাল সূত্রে খবর, এখন তিনি ভাল আছেন। কথা বলেছেন পরিবারের সঙ্গেও। আর একটু দেরি হলেই জীবন সংশয় হত তাঁর।

Must read

প্রতিবেদন : শহরের রাস্তায় হঠাৎই চলন্ত বাসের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন এক প্রৌঢ়। অবস্থা দেখে রাস্তায় ডিউটিরত ট্রাফিক সার্জেন্টের কাছে সাহায্যের জন্য ছুটে যান বাস কন্ডাক্টর। পরিস্থিতি দেখেই লালবাজারের ট্রাফিক কন্ট্রোলে যোগাযোগ করেন ওই সার্জেন্ট। পুরো ঘটনা জানান তিনি। প্রৌঢ়কে অবিলম্বে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন-শিল্ডে কাশ্মীরকে হারিয়ে চমক দিল কাস্টমস

সেখানেই স্থির হয়ে যায় গোটা পরিকল্পনা। আর তারপরই গ্রিন করিডর করে পাঁচ মিনিটের মধ্যে আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় প্রৌঢ়কে। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় চিকিৎসা। ফলে প্রাণে বাঁচলেন প্রৌঢ়। এইভাবে কলকাতা পুলিশের তৎপরতায় প্রাণ বাঁচল পেশায় ইনসিওরেন্স এজেন্ট ওই প্রৌঢ়ের। ঘটনার শুরু শুক্রবার সন্ধ্যায়। উত্তর কলকাতার শোভাবাজার ক্রসিংয়ে দাঁড়ানো ট্রাফিক সার্জেন্টের কাছে ছুটতে ছুটতে আসেন এক বেসরকারি বাস কন্ডাক্টর। তিনি বলেন, বাসের ভিতর একজন বয়স্ক লোক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কিছু একটা করা দরকার।

আরও পড়ুন-টোকেন চালু হতেই যাত্রী বাড়ল মেট্রোয়

এরপরই ফোনে লালবাজার পুলিশ কন্ট্রোলের সবুজ সংকেত পেয়ে এসকর্ট করে মাত্র পাঁচ মিনিটে শোভাবাজার থেকে আর জি কর হাসপাতালে যাত্রীশুদ্ধ বাসটিকে নিয়ে হাজির হন ওই সার্জেন্ট দীপক বৈরাগী। এভাবেই একটি অমূল্য জীবন বাঁচালেন কলকাতা পুলিশের এক ট্রাফিক সার্জেন্ট। পরিস্থিতি বুঝে সময় নষ্ট না করে পাঁচ মিনিটে হাসাপাতালে পৌঁছে যাওয়ায় চিকিৎসা শুরু হয়ে যায় ওই প্রৌঢ়ের। সময়মতো চিকিৎসা শুরু হওয়ায় প্রাণে বাঁচলেন দমদমের বাসিন্দা সমীরণ পোদ্দার।

আরও পড়ুন-ত্রিপুরায় কোনও ভোটই হয়নি, বললেন ফিরহাদ

হাসপাতাল সূত্রে খবর, এখন তিনি ভাল আছেন। কথা বলেছেন পরিবারের সঙ্গেও। আর একটু দেরি হলেই জীবন সংশয় হত তাঁর। কিন্তু বাসচালক ও কন্ডাক্টরের উপস্থিত বুদ্ধি ও ট্রাফিক সার্জেন্ট দীপক বৈরাগীর উদ্যোগে বাঁচল একটা প্রাণ। পরিবারের তরফে এজন্য কলকাতা পুলিশকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। কলকাতা পুলিশের এই মানবিক মুখ দেখে খুশি সবমহলই।

Latest article