প্রতিবেদন: পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের চূড়ান্ত অবনতির প্রেক্ষিতে যাত্রীদের জন্য নতুন নির্দেশ জারি করল নাগরিক বিমান চলাচল মহাপরিচালক (ডিজিসিএ)। সমস্ত বাণিজ্যিক এয়ারলাইন্সকে ডিজিসিএ নির্দেশ দিয়েছে যে, প্রতিরক্ষার বিমানের ক্ষেত্রে বিশেষ করে পশ্চিম সীমান্তের নিকটবর্তী বিমানক্ষেত্রগুলিতে টেকঅফ এবং অবতরণের সময় যাত্রীদের বাধ্যতামূলকভাবে বিমানের জানলার শেড বন্ধ রাখতে হবে। এই নিয়মটি বিমান ১০,০০০ ফুট উচ্চতায় ওঠা পর্যন্ত এবং অবতরণের সময় এই উচ্চতায় নামার পর পর্যন্ত প্রযোজ্য হবে। জরুরি প্রস্থান সারির ক্ষেত্রে এই নিয়মের ব্যতিক্রম রয়েছে, তাও বলেছে বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
আরও পড়ুন-বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের শপথগ্রহণ নিয়ে সই-জালিয়াতির অভিযোগ, তীব্র শোরগোল
এই নির্দেশিকা ভারতের পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তানের সঙ্গে সাম্প্রতিক উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা হয়েছে। এটি নাগরিক এবং সামরিক উভয় কাজে ব্যবহৃত দ্বৈত-ব্যবহারের বিমানের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। ডিজিসিএর পক্ষ থেকে এয়ারলাইন্সগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সামরিক ঘাঁটিতে ছবি তোলা এবং ভিডিওগ্রাফি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে যাত্রীদের সতর্ক করতে হবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অপারেটরদের নিয়ম অমান্য করার সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে যাত্রীদের অবহিত করতে হবে, যার মধ্যে প্রযোজ্য নিরাপত্তা প্রোটোকল অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণমূলক বা আইনি পদক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন-তৃণমূল সাংসদদের ধন্যবাদ ওমরের
বাণিজ্যিক এয়ারলাইন্সগুলিকে টেকঅফ এবং অবতরণের আগে বাধ্যতামূলক ঘোষণা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে যাত্রীদের জানালার শেড বন্ধ করতে এবং ক্যামেরা বা ফোনের মাধ্যমে রেকর্ডিং থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়াও অপারেটরদের প্রতিরক্ষা বিমানক্ষেত্রে পরিচালনার সময় নিরাপত্তা ও সুরক্ষা ঝুঁকি পরিচালনায় ক্রুদের জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) প্রণয়ন করতে বলা হয়েছে। এই নির্দেশিকাগুলির উদ্দেশ্য হল পরিচালন নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা এবং জনসাধারণের দ্বারা নিরাপত্তা-সম্পর্কিত তথ্যের অনিচ্ছাকৃত প্রকাশ রোধ করা। এই নিয়ম কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে এমন বিমানক্ষেত্রগুলির মধ্যে রয়েছে লেহ, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, আদমপুর, চণ্ডীগড়, ভাথিন্ডা, জয়সলমের, নাল, যোধপুর, হিন্ডন, আগ্রা, কানপুর, বারেলি, মহারাজপুর, গোরক্ষপুর, ভুজ, লোলেগাঁও, গোয়া এবং বিশাখাপত্তনম। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী অপারেশন সিঁদুর শুরু করার পর পশ্চিম সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। এই সময়ে উত্তর, মধ্য এবং পশ্চিম ভারতের ৩২টি বিমানক্ষেত্র, যার মধ্যে অনেকগুলি সংবেদনশীল প্রতিরক্ষা বিমানঘাঁটি, কয়েকদিনের জন্য বন্ধ ছিল। যদিও এখন কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়েছে, তবুও নিরাপত্তা উদ্বেগ অব্যাহত রয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই নয়া নির্দেশিকা।