প্রতিবেদন : রোগী হয়রানি মেটাতে ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতিসাধনে বিরাট পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। চালু হচ্ছে সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম। অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই পাইলট ট্রেনিং হিসেবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সরকারি হাসপাতালগুলিতে এই সিস্টেম চালু করা হচ্ছে। যার জন্য ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ পর্ব শুরু হয়ে গেছে। সফল হলে আগামী নভেম্বর মাস থেকে গোটা রাজ্যেই এই নয়া ব্যবস্থা চালু হয়ে যাবে। সোমবার স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম-সহ স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর এমনটাই ঘোষণা করলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। এই ব্যবস্থায় কোনও রোগীকে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে রেফার করা হলে কেন রেফার করা হচ্ছে, তা জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালকে। এর ফলে রোগী পরিবারের কাছে রেফারের কারণ স্পষ্ট হবে।
আরও পড়ুন-ফের এনআরসি-তাস বিজেপির, তীব্র সমালোচনা তৃণমূলের
অনেকক্ষেত্রেই বিভিন্ন কারণে জেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্র কিংবা হাসপাতালগুলি থেকে সংকটজনক রোগীদের কলকাতার বড় হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই রেফার সিস্টেমে থাকে একাধিক ধোঁয়াশা। যেমন, কেন ওই রোগীকে কলকাতার হাসপাতালে রেফার করা হচ্ছে কিংবা যে হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে সেখানে ওই রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় বেডের ব্যবস্থা আছে কি না, সেসব জানতে পারতেন না রোগীর পরিবার। যার ফলে রেফার হওয়া হাসপাতালে এসেও ভর্তি নিয়ে রোগীর পরিবারকে যথেষ্ট ঝক্কি পোহাতে হত। তাই এবার কেন্দ্রীয়ভাবে রেফার করার ব্যবস্থা চালু করছে সরকার। এই নয়া সিস্টেম চালু হলে কেন রোগীকে অন্য হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে, তার লিখিত নথি থাকবে। সমস্ত বিষয়টা রোগী পরিবারের কাছেও পরিষ্কার হয়ে যাবে। পাশাপাশি, এই সিস্টেম চালু হলে কোথায় কোন হাসপাতালে কত বেড খালি আছে, কতজন রোগী ভর্তি নেওয়া যাবে, তার মধ্যেও স্বচ্ছতা থাকবে। সম্প্রতি আরজি কর-কাণ্ডের পর আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবির মধ্যেও এই সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেমের প্রস্তাব ছিল। রাজ্য সরকার ও স্বাস্থ্য দফতরের এই যৌথ উদ্যোগে রোগী হয়রানি কমার সঙ্গে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আরও স্বচ্ছতা আসবে।