মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পাট্টা বিলি শুরু হচ্ছে বারাসতে

এমনটাই খবর বারাসত জেলা পরিষদ সূত্রে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, জমিহীনদের জন্য পাট্টা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

Must read

সুমন তালুকদার, বারাসত: প্রস্তুত প্রায় ৩০০ পাট্টা। এমনটাই খবর বারাসত জেলা পরিষদ সূত্রে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, জমিহীনদের জন্য পাট্টা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সেই মতোই পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে জেলা পরিষদের বন ও ভূমি দফতর। জেলা পরিষদ সূত্রে খবর, তিনশো পাট্টা প্রস্তুত আছে ইতিমধ্যেই। আরও দুশো পাট্টা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। আরও দুশোর মতো আরআর পাট্টা তৈরির কাজ চলছে। পাশাপাশি জেলা পরিষদের সম্পত্তি উদ্ধার ও পরিবেশ রক্ষায় নতুন চারাগাছ তৈরির উপর নজর দিয়েছে জেলা পরিষদের বন ও ভূমি দফতর।

আরও পড়ুন-ঝড়-শিলাবৃষ্টিতে জেলায় চাষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

কয়েক মাস আগেই জেলা পরিষদের বন ও ভূমির কর্মাধ্যক্ষের নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন বসিরহাট উত্তরের প্রাক্তন বিধায়ক এটিএম আবদুল্লা ওরফে রনি। দায়িত্ব পেয়েই জেলা পরিষদের দখল হওয়া সম্পত্তি পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো ভূমিহীনদের জন্য পাট্টা প্রস্তুতের ব্যাপারে জোর দিয়েছেন তিনি। সঙ্গে পরিবেশ রক্ষায় বনসৃজনের উপর জোর দিয়েছেন। রনি জানান, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বদাই আর্থিক ভাবে দুর্বল মানুষের পাশে দাঁড়ান। নানান জনমুখী প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে রাজ্য জুড়ে মানুষের উন্নয়ন করে চলেছেন। তার নির্দেশকে প্রাধান্য দিয়েই জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ২৮৯টি পাট্টা প্রস্তুত আছে। আরও ১৮৭ পাট্টা প্রস্তুতের কাজ চলছে। ৯৮টি আরআর পাট্টা প্রস্তুতের পথে। আরও ২০০টির মতো আরআর পাট্টা প্রসেসিংয়ে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীই এই পাট্টা জেলার ভূমিহীন মানুষদের মধ্যে বিলি করবেন। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পরিবেশ রক্ষায় বনসৃজনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এবছর ১ লক্ষ ২০ হাজার চারা গাছ তৈরি করা হয়েছে। জুলাই মাসে বিধানসভা ভিত্তিক সেই চারা বিলি করা হবে। সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে জেলা পরিষদের সম্পত্তি উদ্ধারে। জেলা পরিষদের প্রচুর জায়গা দখল হয়ে গিয়েছে। সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামীর নেতৃত্বে সকলে মিলে সেই সম্পত্তি উদ্ধারে নেমেছি। ইতিমধ্যে বারাকপুরের সুলতানপুরে ২.৫৯ একর ও বলাগড়ে প্রায় ৪ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। দেগঙ্গার দোহাড়িয়াতে ১.৩১ একর ও সোহাই শ্বেতপুরে ৪০ বিঘা জমি এবং সোহাই মৌজায় ৪.৫২ ও ৯.৮৮ একর জমি চিহ্নিত করা গিয়েছে। সেই জমি উদ্ধার হলে জেলা পরিষদের আয় বাড়বে।

Latest article