মেঘে ঢাকা সুপ্রিয়া

প্রায় অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে বাংলা চলচ্চিত্র আঙিনায় ছিল তাঁর আধিপত্য। ব্যক্তিজীবনে করেছেন কঠিন সংগ্রাম। উত্তমকুমারের অন্যতম প্রিয় নায়িকা। তিনি সফল কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুপ্রিয়া দেবী। আগামী কাল তাঁর প্রয়াণদিবস। তাঁকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানালেন শঙ্কর ঘোষ

Must read

মুখবন্ধ
ছবির শেষ দৃশ্য চলছে। বাউন্ডুলে ভবঘুরে শংকর এসে হাজির অ্যাসাইলামে। সেখানে চিকিৎসাধীন তার বোন নীতা। বেহাল সংসারের হাল ধরেছিল নীতা। পূর্ববাংলা থেকে আসা উদ্বাস্তু কলোনিতে নিজের অসুস্থ বাবা-মাকে দেখা, দাদা, বোন গীতাকে আগলে রাখা, সংগ্রাম করা, সংসারের হাল ধরা, নিজে হাতে করে করে নীতা বাঁধিয়ে ফেলেছিল দুরারোগ্য ব্যাধি। সেই সুবাদে নীতা অ্যাসাইলামে। শংকর মাঝে মাঝে এসে নিজেদের বাড়ির খবরাখবর দেয় নীতার কাছে। সেই ভাবে নীতা জানতে পারে যে তার প্রেমিক সনতের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে তার ছোট বোনের, তাদের ফুটফুটে একটা পুত্রসন্তান হয়েছে, সেই বাচ্চাটি বাড়িকে মাথায় করে রেখেছে। এসব শুনে নীতা গগনভেদী কান্নায় চেঁচিয়ে বলে ‘দাদা আমি বাঁচতে চাই, দাদা আমি বাঁচতে চাই’। সংসারে ফেরার বিপুল আর্তনাদ আকাশে-বাতাসে মুখরিত হয়ে ওঠে। পাঠকেরা এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন কোন ছবির গৌরচন্দ্রিকা করলাম। ঠিকই ধরেছেন ছবির নাম ‘মেঘে ঢাকা তারা’। ঋত্বিক ঘটকের কালজয়ী ছবি। সেখানেই নীতা চরিত্রের শিল্পী সুপ্রিয়া দেবী। চলচ্চিত্র জীবনের প্রায় গোড়ার দিকেই এই ছবিতে তিনি সুযোগ পেয়েছিলেন। সদ্ব্যবহার করেছেন ষোলোআনা। নীতার মর্মস্পর্শী বেদনা দর্শকদের চিত্ত জয় করল সুপ্রিয়া দেবীর অভিনয় গুণে।

আরও পড়ুন-কৃষিকাজে সাফল্য, রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পাচ্ছেন করঞ্জলির গৃহবধূ বর্ণালি ধারা

ঠাঁইনাড়া
সেই সুপ্রিয়ার ব্যক্তিগত জীবনের অনেকখানি জুড়েই রয়েছে সংগ্রামের গল্প। বর্মার উদ্বাস্তু মেয়ে সুপ্রিয়ার বাবা বারবার বাড়ি বদল করেছেন। ১৯৩৩ সালের ৮ জানুয়ারি সুপ্রিয়ার জন্ম বার্মাতে। জায়গাটার নাম মিচকিনা। তাঁর বাবা অ্যাডভোকেট গোপালচন্দ্র ব্যানার্জি। মা কিরণবালা। সুপ্রিয়ারা সাত বোন তিন ভাই। বড়দা মাত্র সামান্য অসুখে ২৫ বছর বয়সে হঠাৎ মারা যাওয়াতে মায়ের সমস্ত রাগ গিয়ে পড়েছিল এই সুপ্রিয়ার উপরে। তিনি বলতেন, ‘ওই মেয়েটা অপয়া। ওর জন্যই আমার ছেলেটা মরে গেল। ওকে দূর করে তাড়াও। তা নইলে ও সবাইকে খাবে।’ দাদার মৃত্যুর পর মিচকিনা ছেড়ে ওঁরা সকলেই সোজা চলে এলেন কলকাতায়। লেক রোডের বাড়ি ভাড়া করে সেখানে থাকতে শুরু করলেন সুপ্রিয়া। ১৯৩৮ সালে জমি কিনে তিনতলা বাড়ি করলেন তাঁর বাবা। ঠিকানা ১২ ল্যান্সডাউন। আবার সপরিবারে চলে এলেন বার্মার মিচকিনাতে। শুরু হল যুদ্ধ। সুপ্রিয়া লক্ষ্য করলেন এই বার্মা দেশ ছেড়ে কাতারে কাতারে লোক চলেছে। ট্রেনে, নৌকায়, হেঁটে— এইভাবে যাতায়াত করতে করতে তাঁরাও এসে পৌঁছলেন এই বাংলায় নারায়ণগঞ্জে। এখানেই শেষ নয়, আরও বহু জায়গা বদল করে অবশেষে কলকাতায় ফিরলেন এবং সতীশ মুখার্জি রোডে একটি বাড়িতে এসে উঠলেন।
জীবনের প্রথম দিনের শ্যুটিং
সতীশ মুখার্জি রোডে থাকাকালীন তাঁদের প্রতিবেশী ছিলেন অভিনেত্রী চন্দ্রাবতী দেবী। তাঁরই মাধ্যমে তিনি সুযোগ পেলেন ‘নাগপাশ’ ছবিতে। সকাল দশটায় শ্যুটিং শুরু হল। শটটা ছিল অন্ধ বোন অর্থাৎ সুপ্রিয়া তাঁর দাদা অসিতবরণের কাছে আসবেন। সেখানে সুপ্রিয়ার মুখের সংলাপ ছিল, ‘দাদা ইনি সেই যিনি সেদিন আমায় বাঁচিয়েছিলেন।’ মহরত শট শুরু হল। সুপ্রিয়া নিজের সংলাপ বললেন। পরিচালক শেষ হতে না হতেই চিৎকার করে ডাক দিলেন কাট। সুপ্রিয়া তখন বুঝতেই পারছেন না যে কী কারণে কাট করা হল। পরিচালক নীরেন লাহিড়ী জিজ্ঞেস করলেন, ‘বাড়ি কোথায়?’ উত্তর দিলেন, ‘পূর্ব বাংলায়, কিন্তু জন্ম বার্মায়’। পরিচালক বললেন প্যাক আপ। ফ্লোরের সব আলো নিভে গেল। আসলে যে সংলাপটি ছিল দাদা ইনি সেই যিনি সেদিন আমায় বাঁচিয়েছিলেন। সেই বাঁচিয়েছিলেন কথাটার চন্দ্রবিন্দুটা সুপ্রিয়া উচ্চারণ করতে পারেননি। পরিচালককে পাহাড়ি সান্যাল সান্ত্বনা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘তোরা একটুতেই মুষড়ে পড়িস কেন? আরে ও তো সবে এসেছে। গড়েপিঠে নিলেই ঠিক হয়ে যাবে।’ সত্যি সত্যি সুপ্রিয়াকে গড়েপিঠে নেওয়া হল। কিন্তু ওই সময়ই পরিচালকের নিজের ‘গরবিনী’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল এবং সেটি ফ্লপ করায় তিনি আর নাগপাশ নিয়ে এগোলেন না।
আবার বিপত্তি
এমপি প্রোডাকশনের প্রোডাকশন কন্ট্রোলার বিমল ঘোষ একদিন তাঁদের বাড়িতে এসে হাজির এবং তিনি জানালেন যে একটি ছবি তাঁরা করছেন ‘বসু পরিবার’ সেখানে নায়ক উত্তমকুমারের বোনের চরিত্রের জন্য পাহাড়ি সান্যাল তাঁদেরকে সুপারিশ করেছেন বেণুর নাম। সেইমতো এমপি স্টুডিওতে নিয়মিত যেতেন অনুশীলন করতে, রিহার্সাল দিতে। এমপিতে থাকাকালীনই তাঁর নতুন নামকরণ করেন পাহাড়ি সান্যাল— সুপ্রিয়া। কারণ বেণু নাম দিয়ে ছবিতে চলবে না। সেদিন ছবির শেষ দৃশ্যের শ্যুটিং হচ্ছে বসু পরিবারের। পরিচালক নির্মল দে জানালেন যে এই দৃশ্যে দাদা উত্তমকুমার। তিনি তাঁর ভাই নেপালকে বেল্ট খুলে মারছেন চুরির অপরাধের জন্য। বোন সুপ্রিয়া ছুটে এসে বড়দা বলে জড়িয়ে ধরে বলতে থাকবেন যে, ‘ওকে মেরো না।’ কিন্তু লজ্জায় সুপ্রিয়া সেই ব্যাপারটা করতেই পারলেন না! নির্মল দে প্রচণ্ড রেগে গিয়ে বললেন, ‘কী অসুবিধা হচ্ছে? ও তো তোমার বড় ভাই। ওকে জড়িয়ে ধরতে অসুবিধা কোথায়?’ আরও রেগে গিয়ে বললেন, ‘এক কাজ করো, এবার থেকে না ওই ঝিয়ের পার্ট করো। চায়ের কাপ নিয়ে আসা-যাওয়া। তোমার দ্বারা হিরোইনের পার্ট কখনও হবে না।’ জেদ চেপে গেল সুপ্রিয়ার। তিনি বললেন তিনি শট দিতে রেডি হয়ে আছেন। টেকিং শুরু হল। সুপ্রিয়া দৌড়ে এসে ‘মেরো না মেরো না ছোড়দা মরে যাবে’ বলে জড়িয়ে ধরলেন বড়দাকে। পরিচালক এসে বললেন— ‘এই না হলে শট! একেই বলে অভিনয়।’ ইতিমধ্যে একটা চড়া গলার কথা শুনতে পেলাম, ‘বিমলবাবু এই আপনাদের ভাই-বোনের পারিবারিক গল্প! এই অশ্লীল দৃশ্য কি ছবিতে না রাখলেই হত না! বেণু তুমি আর এই ছবিতে কাজ করবে না। তুমি এখনই আমার সঙ্গে চলে এসো।’ কথাগুলো বলছিলেন তাঁর বাবা। রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে সুপ্রিয়া। ফলে তাঁর বাবার পক্ষে এইরকম ধরনের ভাই-বোনের জড়াজড়ির দৃশ্য কখনওই মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না। তবু যেহেতু কন্ট্রাক্ট সই হয়ে গেছে, তাই বাবাকে শেষ পর্যন্ত ছাড়তেই হল। কিন্তু আর সুপ্রিয়াকে তাঁর বাবা অভিনয়ের জগতে রাখতে চাইলেন না। কারণ তাহলে সুপ্রিয়ার অন্যান্য বোনেদের বিয়ে হবে না, যেহেতু সুপ্রিয়া সিনেমায় নেমেছেন বলে।

আরও পড়ুন-নেতাজির পথ ওদের রাস্তা নয়

স্বামীর সঙ্গে প্রথম পরিচয়
এক দিদির শ্বশুরবাড়িতে সুপ্রিয়ার আলাপ হল বিশ্বনাথ চৌধুরীর সঙ্গে। ক্যালকাটা জব প্রেসে ভদ্রলোক চাকরি করতেন এবং তাঁকে দেখেই মুগ্ধ হলেন সুপ্রিয়া। পরবর্তীকালে সেই বিশ্বনাথ চৌধুরীর সঙ্গেই সুপ্রিয়ার বিয়ে হল। সেটি ১৯৫৪ সালের ৮ মার্চ। বাবা-মাকে না জানিয়ে লুকিয়ে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ। একটু ভয় ভয় করছিল বটে সুপ্রিয়ার। কিন্তু পরে রাত্রে বাবাকে সব কথাই জানালেন। পুরো বাড়িটার ওপর যেন বাজ পড়ল। ইতিমধ্যে শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সুপ্রিয়ার ভাল সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। শাশুড়ি অত্যন্ত স্নেহ করতেন। দেওরের সঙ্গে স্টারে শ্যামলী নাটক দেখতে গেলেন। পরে গ্রিনরুমে উত্তমকুমারের সঙ্গে আলাপ করতে গেলেন বটে কিন্তু তিনি যেন চিনতেই পারলেন না! খুবই অপমানিত মনে হল। তখন তিনি তাঁর স্বামী বিশ্বনাথকে বললেন, ‘তোমার যদি মত থাকে তাহলে আমি আবার একবার চেষ্টা করব সিনেমাতে কাজ করবার।’ বিশু (বিশ্বনাথ) মত দিয়েছিলেন। ইতিমধ্যে পরিচালক সুশীল মজুমদারের মর্মবাণী ছবিতে একটি চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পেলেন। ছবির নায়িকা সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বোনের চরিত্রে। কিন্তু সুপ্রিয়া চেয়েছিলেন সর্বদাই নায়িকা করতে।
সুশীল মজুমদার বললেন, ‘তোমার যা চেহারা তাতে নায়িকার পার্টে মানাবে না। এখন যাঁরা নায়িকা মানে সুচিত্রা, সাবিত্রী ওঁদের ঝিয়ের পার্ট করলে মানাবে ভাল।’ তবু কাজ করলেন সুপ্রিয়া। কিন্তু সেই ছবিও ফ্লপ করল। সত্যি সত্যি এবার নায়িকার সুযোগ এল আম্রপালি ছবিতে। কিন্তু সেখানে আম্রপালি চরিত্রে অভিনয় করতে গেলে পরে যে পোশাকে তাঁকে অভিনয় করতে হবে তাতে তিনি তৈরি আছেন কি না এটা সুপ্রিয়ার কাছে জানতে চাইলেন পরিচালক। তখন এতই অভিনয়ের জন্য আগ্রহী ছিলেন যে রাজি হলেন। পোশাকটি হল কাঁচুলি ও ছোট ঘাগরা। সামনে কুচি দেওয়া। ইতিমধ্যে কন্যাসন্তানের জননী হলেন সুপ্রিয়া। কন্যা সোমা।
উত্তমকুমারের নায়িকা
সোনার হরিণ ছবি দিয়ে শুরু। পরে পরপর অভিনয় করলেন উত্তমকুমারের সঙ্গে। ‘উত্তর মেঘ’, ‘শুন বরনারী’, ‘অগ্নিসংস্কার’, ‘নিশীথে’, ‘উত্তরায়ণ’, ‘সূর্যশিখা’, ‘লাল পাথর’, ‘শুধু একটি বছর’, ‘কাল তুমি আলেয়া’, ‘জীবনমৃত্যু’, ‘তিন অধ্যায়’, ‘সাবরমতী’, ‘মন নিয়ে’, ‘চিরদিনের’, ‘বিলম্বিত লয়’, ‘জীবন জিজ্ঞাসা’, ‘ছিন্নপত্র’, ‘বনপলাশীর পদাবলী’, ‘বাঘবন্দী খেলা’, ‘সন্ন্যাসী রাজা’ প্রভৃতি ছবি। উত্তমকুমার পরিচালিত তিনটি ছবিরই নায়িকা সুপ্রিয়া দেবী (শুধু একটি বছর, বনপলাশীর পদাবলী, কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী)।
অশান্তির সূত্রপাত
একে একে এত ছবিতে কাজ করার সূত্র ধরে এবং বিশ্বনাথ চৌধুরী ওরফে বিশুর সঙ্গে সুপ্রিয়ার যেন মানসিক দূরত্ব বাড়তেই লাগল। এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গেল যে বিচ্ছেদ ছাড়া আর কোনও উপায় রইল না। বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর সোমার দায়িত্ব সুপ্রিয়া নিজেই নিলেন। সোমাকে কনভেন্টে রেখে পড়াশুনা করিয়েছিলেন সুপ্রিয়া।

আরও পড়ুন-কেন সিবিআই তদন্ত হবে না! ইভেন্ট ম্যানেজার দিয়ে লোক খ্যাপানোর চেষ্টা?

বোম্বাইতে হিন্দি ছবির ডাক
যখন টালমাটাল অবস্থা চলছে সুপ্রিয়ার, সেই সময় হেমন্ত মুখোপাধ্যায় একদিন সুপ্রিয়াকে জানালেন যে তিনি বোম্বেতে গিয়ে কাজ করবেন কি না। সুপ্রিয়া সম্মত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কিশোরকুমারকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ফোন করে জানালেন নতুন নায়িকার সন্ধান পাওয়া গেছে। সেইমতো সুপ্রিয়া হাজির হলেন বোম্বেতে। নায়িকা হয়ে গেলেন। তারপর ওখানে থাকতে শুরু করেন।
ধর্মসাক্ষী করে বিয়ে
উত্তমকুমারের সঙ্গে সুপ্রিয়ার লিভ টুগেদার তাঁর বাবা-মা মানতে পারছিলেন না। তাঁরা জানতেন গৌরীদেবী উত্তমকুমারকে ডিভোর্স দেবেন না, তাই উত্তমকে তাঁর বাবা বললেন, আইন মানুষ তৈরি করেছে। কিন্তু এই আইনের উপরে আছে ধর্ম। তুমি ধর্মসাক্ষী করে অনুষ্ঠান করে বিয়ে করে বেণুকে গ্রহণ করো। তাহলে মনের দিক থেকে তোমরা দু’জনে দু’জনের কাছে পরিষ্কার থাকবে। আমিও শান্তি পাব।’ সেইমতো ১৯৬৩ সালের ২ ডিসেম্বর ধর্মত উত্তমকুমারের সঙ্গে সুপ্রিয়ার বিয়ে হল।
শেষ পর্ব
এত সব করেও সেই সম্মান কি পেয়েছিলেন? তাই উত্তমকুমার অসুস্থ হয়ে ময়রা স্ট্রিটের বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন, কিন্তু মৃতদেহ গেল গিরিশ মুখার্জি রোডের বাড়িতে। উত্তমের প্রতি টান জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সুপ্রিয়া বজায় রেখেছিলেন। সুপ্রিয়াদেবী চলে গেলেন ২০১৮ সালের ২৬ জানুয়ারি। শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি শিল্পীকে।

Latest article