প্রতিবেদন : বাঁশদ্রোণীতে পে-লোডারের ধাক্কায় ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় পুলিশি তৎপরতায় গ্রেফতার ২। ঘটনার ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই ঘাতক পে লোডারের চালক এবং মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বুধবার ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পর মালিকের সাহায্যেই গা ঢাকা দিয়েছিল চালক। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ শহরতলি) বিদিশা কলিতা। এদিন তিনি বলেন, ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় বাঁশদ্রোণী থানায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ১০৫ নং ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। তারপর তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার দমদম ও চিৎপুর এলাকা থেকে প্রথমে দুজনকে আটক করা হয়। তাঁদের মধ্যে একজন পে-লোডারের চালক শম্ভু রাম এবং অন্যজন গাড়ির মালিক বিশ্বকর্মা শর্মা। জেরায় জানা গিয়েছে, ঘটনার পর বিশ্বকর্মাই চালক শম্ভুকে পালাতে সাহায্য করেছিল। তারপর দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-মালদহের কালিয়াচক কলেজ পেল ন্যাক-এর ‘এ’ গ্রেড তকমা
গত বুধবার মহালয়ার দিন বাঁশদ্রোণীর দীনেশনগরে পে-লোডারের ধাক্কায় নবম শ্রেণীর ছাত্রের মৃত্যুকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। এমনকী পুলিশকে ঘিরেও দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ চলে। আর সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের সুযোগে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করে বিজেপি। ঘটনায় এক বিজেপি নেত্রীকে গ্রেফতারও করা হয় বিশৃঙ্খলা পাকানোর অভিযোগে। ছাত্রমৃত্যু এবং পুলিশের উপর নিগ্রহের ঘটনায় মোট পাঁচটি মামলা দায়ের হয়। তারপর ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্ত চলছে বলে এদিন জানিয়েছেন ডিসি (দক্ষিণ শহরতলি) বিদিশা কলিতা।