ভোটের সময় বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) ভাঙড় ডিভিশন (Bhangar division) শান্তিপূর্ণ ভাবেই এক বছর পূর্ণ করল। একটা সময় ছিল যখন প্রায় প্রতিদিনই বোমা, গুলির শব্দ শুনতে হত। আতঙ্কে মানুষের দিন কাটত। সেখানে হিংসার ঘটনা এখন অনেকটাই কমেছে। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইএসএফ-তৃণমূল কংগ্রেসের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল সাত জনের। এই ঘটনার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের আওতাধীন করার কথা ঘোষণা করেন। বারুইপুর পুলিশ জেলার ভাঙড় ও কাশীপুর থানা ভেঙে কলকাতা পুলিশের আটটি থানা তৈরি করা হয়। চারটি থানা আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু করা হয়েছে। গত বছরের অর্থাৎ ২০২৪ সালের ৮ই জানুয়ারি থেকে কলকাতা পুলিশের ভাঙড় ডিভিশনের পথ চলা শুরু হয়। আলাদা ট্র্যাফিক গার্ডও তৈরি করা হয়।
আরও পড়ুন-বাংলার প্রথম লুপ সেতু হতে চলেছে বাগরাকোটে
ভাঙড়ে লোকসভা নির্বাচন নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা ছিল কলকাতা পুলিশের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। সেই নির্বাচন
রক্তপাত ছাড়া শান্তিতে মিটে যায়। কলকাতা পুলিশের ভাঙড় ডিভিশন তরফে খবর, বেশিরভাগ এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় এখন। ফলে অপরাধীরাও এখন সতর্ক। দুষ্কৃতীদের আলাদা তথ্যপঞ্জি আছে। তাদের উপরে কড়া নজরদারি করতে আলাদা অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। রাজনৈতিক হিংসা বন্ধ করতে সব পক্ষের মতামত বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি থানায় পদস্থ কর্তারা ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করছেন। থানা এলাকা ছোট ছোট জ়োনে ভাগ করে তৎপর পুলিশ। এছাড়া প্রত্যন্ত এলাকায় মোটরবাইকে টহল দেওয়া হচ্ছে নিয়মিত। এলাকায় নানা বিষয়ে সচেতনতার প্রচার এবং জনসংযোগ গড়ে তুলছে পুলিশ। বেকার যুবক-যুবতীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বনির্ভর করার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন-জলপাইগুড়ি থেকে চিকিৎসা করাতে ডায়মন্ড হারবারে, ১ লক্ষ পার সেবাশ্রয়, আপ্লুত অভিষেক
প্রসঙ্গত, উত্তর কাশীপুর থানার ওসি অমিত চট্টোপাধ্যায় কচুয়া হাইস্কুলে বিজ্ঞান পড়ানো ছাড়া ইংরেজির ক্লাস নিচ্ছেন। সেই সঙ্গে তিনি বাল্যবিবাহ, নারী পাচার-সহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। ভাঙড়ের চারটি থানা মিলিয়ে আট জন ইনস্পেক্টর, ৯৬ জন অফিসার ও ২১৬ জন কর্মী গোটা ডিভিশনের দায়িত্বে আছেন। ট্র্যাফিক ব্যবস্থাও বেশ উন্নত এখন। গুরুত্বপূর্ণ সব রাস্তায় সিগন্যাল পোস্ট, গাড়ির গতি মাপার যন্ত্র, স্পিড ব্রেকার বসানো হয়েছে।