প্রতিবেদন : শান্তিনিকেতনের পিয়ারসন হাসপাতালের হাল ফেরাতে এবার উদ্যোগ নিয়েছেন নতুন উপাচার্য ডঃ প্রবীরকুমার ঘোষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব এই হাসপাতালের কোটি টাকার নতুন ভবনটি পড়ে নষ্ট হচ্ছে। দীর্ঘদিন অপ্রতুল ডাক্তার। হাতে গোনা নার্স। কোনওরকমে কাজ চলছে। এই বিষয়ে জানতে পেরে তৎপর হয়েছেন নতুন উপাচার্য। প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী আমল না দেওয়ায় প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি নতুন হাসপাতাল ভবনটি ২০১৯ থেকে অব্যবহৃত পড়ে আছে। সেখানে কার্ডিওলজি, আইসিইউ, ট্রমাটোলজি বিভাগ খোলার ভাবনা মার খেয়েছে। উপাচার্য পদে বসে বিষয়টি জেনেই প্রবীরবাবু শুক্রবার হাসপাতালটি পরিদর্শন করেন। ডাক্তার ও আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে দ্রুত সমস্যা মেটানোর নির্দেশ দেন। শূন্যপদ পূরণে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেন। তাঁর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়া, কর্মী, অধ্যাপকেরা।
আরও পড়ুন-ইদের আগে অভিষেকের শুভেচ্ছাবার্তায় আপ্লুত তৃণমূল সংখ্যালঘু সেল
প্রসঙ্গত, রবীন্দ্র অনুরাগী উইলিয়াম উইনস্ট্যানলি পিয়ারসন কবিগুরুর বেশ কিছু লেখা ইংরেজিতে অনুবাদ করেন। ১৯১৬ সালে রবীন্দ্রনাথের সচিব হন। পরে জাপান ও আমেরিকায় তাঁর সফরসঙ্গীও হন। ১৯২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ইতালির মিলান থেকে ফ্লোরেন্স যাওয়ার পথে ট্রেন থেকে পড়ে অকালমৃত্যু হয় তাঁর। ১৯২৭-এ শান্তিনিকেতনে গড়ে ওঠে তাঁর স্মৃতিতে এই পিয়ারসন মেমোরিয়াল হাসপাতাল। আরেক রবীন্দ্র অনুরাগী চার্লস ফ্রিয়ার অ্যান্ড্রুজের এই হাসপাতালে তৈরিতে অবদান ছিল। ৯৮ বছরের পুরনো হাসপাতালটি বেহাল হয়ে পড়ে প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আমলে। ২০০২-এর পর ডাক্তার, ২০১২-র পর নতুন নার্স নিয়োগ হয়নি। বর্তমানে ডাক্তার মাত্র ৬ জন। নার্স ও অ্যাসিস্ট্যান্ট মেট্রন মিলে ১৪ জনের জায়গায় রয়েছেন ৭ জন। প্যাথলজি, ইসিজির স্থায়ী টেকনিশিয়ান ও ড্রেসার নেই। অস্থায়ীদের দিয়ে কাজ চলছে।৭ জন ফার্মাসিস্টের কাজ চালাচ্ছেন একজন। তিন শিফটের দায়িত্ব বণ্টনে নাজেহাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই অবস্থায় নতুন উপাচার্য নজর দেওয়ায় আশার আলো দেখছে সব মহল।